জীবনের সঙ্গে নিশ্চয়ই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার এবং ওবেসিটির মতো সমস্যা? অধিকাংশ বাঙালিই কোনও না কোনও নন-কমিউনিকেবল রোগের শিকার৷ এক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতনভাবে পদক্ষেপ করতে হবে। রোগীর সমস্যার গভীরে গিয়ে, তা চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। তাই সবক্ষেত্রেই যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা ও সতর্কতা অবলম্বন সর্বাপেক্ষা জরুরি।স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কোনওরকম অবহেলা করা চলবে না। জীবনশৈলী আর অভ্যাস, আমাদের শরীরের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। কোনটি ভালো অভ্যাস এবং কোনটি বর্জনীয়, আসুন জেনে নিই।
জগিং এবং এক্সারসাইজ : এই দুটোর মাধ্যমে শরীরে ঘাম হলে, শরীরের বিষাক্ত তত্ত্ব ঘামের সঙ্গে শরীরের বাইরে বেরিযে যাবে। মাংসপেশি মজবুত হবে, ত্বকে টানটান ভাব আসবে, সহজে ত্বকে বলিরেখা পড়বে না।
ঈষদুষ্ণ জল পান : সকালে খালি পেটে হালকা গরম জল খেলে সারাদিন ভরপুর এনার্জি পাবেন। খাবার খাওযা হযে গেলে, হালকা গরম জলে সামান্য লেবুর রস মিশিযে খেলে সহজে খাবার হজম হবে।
গ্রিন টি ও ব্ল্যাক কফি : এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস্ শরীরের ভিতরের বিষাক্ত পদার্থ বার করে দেয আর মেদও কমাতে সাহায্য করে। মাথাব্যথায আরাম হয। এতে ক্যালসিযাম ও পটাসিযাম ভরপুর মাত্রায় থাকে।
ব্রিস্ক ওয়াকিং : সকালে ঘুম থেকে উঠে বা রাতের খাওযা সেরে আধা ঘন্টা হেঁটে আসাটা খুব জরুরি।
খাওযার সময ফিক্স করুন : জলখাবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা, দুপুরের খাবার ১টা থেকে ২টোর মধ্যে এবং ডিনার ৮টা থেকে সাড়ে ৮ টার মধ্যে সেরে ফেলা উচিত। দুপুর আর রাতের খাবারের মাঝে বিকেলে হালকা কিছু খাওযা যেতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুমোনো : ঘুম শরীরের জন্য প্রযোজনীয় তাই ঘুম সম্পূর্ণ করুন। অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। ঘুমোলে চিন্তা, অবসাদ, স্ট্রেস কম হবে।
আউটডোর গেমস এর গুরুত্ব : শারীরিক আর মানসিক বিকাশের জন্য বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে খেলাধুলা করাটা খুব দরকার।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান : সারাদিনে অন্তত ১ ঘন্টা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান।
সঠিক মাত্রায় জল পান : জল শুধু তেষ্টা মেটায় না, নানা অসুখের চিকিৎসারও সহজ পদ্ধতি। সারাদিনে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার জল পান করুন। জল ত্বক সুস্থ ও তরতাজা রাখে, ব্রণর সমস্যাও রোধ করে।