রোজ যদি প্রযোজনের বেশি ঘুম হয় তাহলে নানা রকম শারীরিক সমস্যার শিকার হতে পারেন আপনি। যেমন ডায়াবেটিজ, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক ইত্যাদি। প্রয়োজনের বেশি বলতে সমীক্ষা বলছে ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমোনো শরীরের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। সাধারণত আগের দিন যদি ভালো ঘুম না হয় অথবা বেশ কয়েদিন ধরে ঠিকমতো ঘুমোনো সম্ভব না হয়, তাহলেই স্বাভাবিক ভাবে মানুষ বেশি ঘুমিয়ে পড়ে।

শরীর-স্বাস্থ্যের উপর প্রয়োজনের বেশি ঘুমোনোর প্রভাব

  • কগনিটিভ ইমপেয়ারমেন্ট (কোনও কিছু মনে রাখতে সমস্যা হওয়া, নতুন কিছু শিখতে অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া, মনোযোগ দিতে না পারা, রোজের জীবনে সিদ্ধান্ত নিতে না পারা ইত্যাদি)
  • অবসাদের শিকার হওয়া
  • শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকা
  • সারা শরীরে ব্যথা
  • ফার্টিলিটি রেট কমে যাওয়া
  • ওবেসিটির সমস্যা
  • ডাযাবেটিজ হওযার রিস্ক বেড়ে যাওয়া
  • হার্টের সমস্যার সূত্রপাত
  • স্ট্রোক হওযার রিস্ক বেড়ে যায়
  • যে-সব সমস্যার কারণে মৃত্যুর ভয় থাকে সেইসব শারীরিক সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

 

কীভাবে আটকাবেন প্রয়োজনের বেশি ঘুম

  • অ্যালার্ম দিয়ে শুতে যান
  • রাত ১২টার আগে শুতে যাওযা বাঞ্ছনীয়। মধ্যরাতের অন্তত ৩ ঘন্টা আগে শোযার অভ্যাস পরের দিন শরীর ঝরঝরে রাখে এবং সকালে ক্লান্তি আসতে দেয় না
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার আধঘন্টার মধ্যে জলখাবার খেয়ে নিন। যারা রেগুলার ব্রেকফাস্ট খায় তাদের শরীর এনার্জিতে ভরপুর থাকে এবং বডি মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, ফলে রাতে ভালো ঘুম হয়
  • পরের দিন কী কী কাজ করবেন সেটা রাতে শুয়ে চিন্তা করুন
  • সচেতন ভাবে সবরকম টেকনোলজি থেকে নিজেকে সরিয়ে আনুন ঘুমের আগে। এতে ঘুম গভীর হবে এবং সকালে উঠে নিজেকে রিফ্রেশড লাগবে
  • ক্লান্তির সত্যিকারের কারণটা খুঁজে দেখুন। অফিসের অত্যধিক চাপ? বেশি এক্সারসাইজ করা দরকার? স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খাওয়া উচিত? নতুন চাকরি খুঁজছেন? দুঃসহ সম্পর্ক ছেড়ে বাইরে বেরোবার পথ খুঁজছেন?
  • জীবনে লক্ষ্য রাখুন, জীবনকে অর্থবহ করে তুলুন যা করতে ভালো লাগে সেটাই করুন। যাদের জীবনে লক্ষ্য আছে তাদের সকাল শুরু হয় এনার্জির সঙ্গে।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...