আধুনিক টেকনোলজির যুগে এখন সবাই সবাইকে দেখতে পায়, চ্যাটিংয়ের দৌলতে বন্ধুত্বটুকু বেঁচে থাকে। এভাবেই স্কুলের হারানো বন্ধুত্বগুলো ফিরে পাওয়া যায়।কুড়ি বছর পর সোশ্যাল সাইটের দৌলতেই ফের দেখা হবে অরুণ, বনি, দত্ত আর নীলার।বহুদিন ধরে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন তারা।তাই দেখা হওয়ামাত্র স্কুলের গল্প, শৈশব আর নস্ট্যালজিয়ায় তারা ফিরে যাবেন সেই সব সোনালি দিনে।
বন্ধুত্ব, নস্ট্যালজিয়া, রিইউনিয়ন নিয়ে এর আগেও বাংলাতে ছবি হয়েছে।কিন্তু নতুন এই ছবিটিতে, সেই স্কুল বন্ধুদের রিইউনিয়ন হবে, যারা তাঁদের নিজেদের জীবনের ঘাত -প্রতিঘাতে প্রাণ খুলে হাসতেও ভুলে গিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে নিজেজের প্তাঁরতিষ্রাঠিত করতে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তারাই এবার সিদ্ধান্ত নেন, নিজেদের বহমান জীবনের একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে, ২০ বছর আগের সেই সোনালি দিনগুলিতে পুনরায় ফেরত যাওয়ার।
শ্রীমন্ত সেনগুপ্তের পরিচালনায়, পিএসএস এন্টারটেইনমেন্টস এবং প্রোমোদ ফিল্মসের প্রযোজনায় এই ছবি ‘আবার বছর কুড়ি পরে’ নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকের কলকাতার প্রেক্ষাপট, স্কুলের বন্ধুবান্ধব, নস্টালজিয়া এবং কয়েকটি অন্যান্য নানা টুইস্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে।
সাড়ে তিন বছর ধরে মোনালি সেন চৌধুরীর সঙ্গে বসে এই গল্পটি লিখেছেন শ্রীমন্ত। সেখানে নিজেদের জীবনের গল্প যেমন রয়েছে, তেমনই পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের জীবনের গল্পও, জানালেন শ্রীমন্ত। এই ছবিতেই প্রথমবার জুটি বাঁধতে চলেছেন অর্পিতা আর আবির। থাকছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদতে কলকাতারই ছেলে শ্রীমন্ত, কিন্তু কর্মসূত্রে গত ১৫ বছর ধরে মুম্বইয়ের বাসিন্দা।এর আগে শর্ট ফিল্ম পরিচালনা করলেও ফিচার এই প্রথম। ছবিতে ফ্ল্যাশব্যাকের মধ্যে দিয়ে নব্বইয়ের দশককে তুলে ধরা হবে। চারজনের স্কুলের চরিত্রে অভিনয় করবেন আর্য দাশগুপ্ত, পূষণ দাশগুপ্ত, দিয়াশা দাস, তনিকা বসু। অন্যান্য চরিত্রে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি সাউ, অরিত্র দত্ত বণিক, রাজর্ষি নাগ। সুরকার রণজয় ভট্টাচার্য। উত্তরবঙ্গে শ্যুটিং হয়েছে ছবিটির।
সম্প্রতি ছবিটিতে তাঁর লুক প্রকাশ করতে একটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। ছবি মুক্তির সঠিক তারিখ এখনও স্পষ্ট না হলেও, খুব শিঘ্রই যে পরিচালক এ ব্যপারে উদ্যোগী হবেন, অভিনেত্রীর এই পোস্ট থেকে তা আন্দাজ করা যায়।