সাত বছর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলেও সন্তানের জন্য আমার স্বামী কিছুতেই রাজি নন। ওনার মতে আরও অর্থ উপার্জন করে তবেই সন্তানের কথা ভাবা উচিত।

সাত বছর আমাদের বিয়ে হয়েছে। আমার বয়স ৩৪ এবং আমার বরের বয়স ৩৮। বিয়ের পর থেকেই আমরা খুব কেয়ার ফ্রি জীবনযাপন করছি এবং সুখে রয়েছি। আমরা দুজনেই ভালো চাকরি করি সুতরাং আর্থিক ভাবে আমরা খুব স্বচ্ছল। নিজেরা ফ্ল্যাট কিনেছি, বছরে দুবার করে বাইরে বেড়াতেও যাই। প্রচুর পার্টিতেও যোগদান করি এবং আমাদের ফ্ল্যাটেও অতিথিদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। শ্বশুর-শাশুড়িকেও ওনাদের প্রথম বিদেশসফরে আমরাই নিয়ে যাই।

আমি এখন সন্তান চাই কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় স্বামীকে একথা জানাতে স্পষ্টই উনি জানিয়ে দিয়েছেন এর জন্যে উনি এখনই প্রস্তুত নন। ওনার বক্তব্য, আর্থিক ভাবে আরও বেশি স্বচ্ছল হয়ে তবেই আমাদের উচিত সন্তানের চিন্তা করা। আমাদের যা কিছু স্বপ্ন সব সফল হবার পরে নাকি বাচ্চাকে এই পৃথিবীতে আনার কথা আমাদের ভাবতে হবে।

স্বামীর কথা শুনে আমি ভীষণ ভাবে আশ্চর্য হয়েছি। বাচ্চা হওয়ার পরেও তো জীবনের স্বপ্ন সফল করা সম্ভব। আমি এখন ভয় পাচ্ছি, স্বামী হয়তো কোনওদিনই চাইবেন না যে আমাদের সন্তান হোক। আর যদিও বা হয়, তাহলে উনি সেই সন্তানকে কোনওদিনই ভালোবাসবেন না। কী করব?

বিয়ের পর যদি অনেকদিন সন্তানাদি না হয় এবং কেয়ার ফ্রি জীবনযাপনে একবার অভ্যস্ত হয়ে পড়লে, বাচ্চা হওয়ার এবং তাকে মানুষ করার ঝুটঝামেলা অনেকেই এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করে। আমার মনে হয়, আপনার স্বামীও এই ভয়ে ভীত। স্বামীকে বোঝান যে, কী এমন স্বপ্ন থাকতে পারে যেটা বাচ্চা হওয়ার পরে সম্ভব হবে না। স্বামীকে বলুন যদি আপনারা উভয়ে সত্যিই বাচ্চা চান তাহলে এখনই ভাবা দরকার কারণ দুজনেরই বয়স বেড়ে চলেছে। একটা বয়সের পর কনসিভ করাটাও আপনার পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া বাচ্চা মানুষ করার এনার্জিও আপনাদের কমতে থাকবে।

কিন্তু আপনার স্বামী, সন্তান হলে তাকে ভালোবাসবেন কিনা সেই নিয়ে একদমই চিন্তা করবেন না। একবার সন্তান এই পৃথিবীতে এলে দেখবেন, উনি নিজেই ভাববেন এতদিন ওই সন্তানের মুখ না দেখে কী করে ছিলেন।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...