ব্যক্তিত্ব সামগ্রিকভাবে এমনই একটি জিনিস, যা আপনাকে সবার চেয়ে আলাদা করে৷ তাই তাই মানুষ হিসেবে আগে আপনাকে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে হবে৷ আপনার চারপাশের মানুষজন যত বেশি করে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে, তত সহজে আপনি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন৷ সেটা কর্মক্ষেত্রেই হোক বা বন্ধুমহলে, নিজেকে সবার কাছে প্রজেনটেবল করে তুলতে হবে৷ তাই নিজেকে প্রফেশনালি দক্ষ করে তোলাও যেমন জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি নিজের পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট৷ ভিতর এবং বাইরে নিজেকে সমৃদ্ধ করা খুব জরুরি৷ আপনার শিক্ষা, রুচি, আচার-ব্যবহার, কথা বলার স্টাইল, শব্দচয়ন—সব মিলিয়েই কিন্তু আপনি৷ তাই প্রথমে বিচার করুন, এর কোনটিতে আপনার ত্রুটি রয়েছে৷ একবার এটা চিহ্ণিত করতে পারলেই, সেটা উন্নত করতে সচেষ্ট হোন৷

 লুকের প্রতি নজর

মডার্ন ড্রেস ও হেয়ারস্টাইল নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা দ্বিধা কাজ করে। কে কী বলবে, কী ভাববে? সবার আগে এই ভাবনারই বদল দরকার। প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। দ্বিধা, হিনম্মন্যতা দূর করে নতুন লুকে নিজেকে আপ টু ডেট করে নিন।হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির মনোবিদ অ্যালেন ল্যাঙ্গারের রিসার্চ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। তিনি ২৭ থেকে ৮৩ বছর বয়সি ৪৭ জন মহিলার উপর রিসার্চ চালিয়েছিলেন। মুখের গঠন অনুযায়ী প্রত্যেককে হেয়ার কাট ও কালার টাচ দেন। সঙ্গে মানানসই মডার্ন পোশাক। দেখা যায়, যেসব মহিলা নিজেদের ইয়ং লুকের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তাদের অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। বয়সটাও একধাপে অনেকটা কমে গেছে। ঠিক উলটো পরিস্থিতি অন্যদের ক্ষেত্রে।অর্থাৎ অন্তর আর বাহ্যিক তারুণ্য–দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকাটা জরুরি। সেক্ষেত্রে মনকে তাজা রাখার পাশাপাশি দরকার হেয়ারস্টাইল এবং পোশাকের পরিবর্তনও। সঙ্গে স্টাইলিশ অ্যাক্সেসরিজ। তাহলেই নিজেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও সতেজ লাগবে। লো কনফিডেন্স-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জীবনটা উপভোগ করুন। অনেকের হালকা রঙের পোশাক পছন্দ। তাদের বলব, মাঝেমধ্যে নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন। জিন্স-এর সঙ্গে রংবাহারি জ্যাকেট, কখনও বা ফ্যাশনেবল গাউন ট্রাই করুন। অন্যের সমালোচনার ভয়, ঝেড়ে ফেলে নিজেকে স্মার্ট করে তুলুন। কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, যাতে সদর্থক ভাবনা আপনাকে ঘিরে রাখে, ডিপ্রেশন নয়।জীবন একটাই। তাই বেঁচে থাকার মানে খুঁজে নিতে হবে আপনাকেই। জীবনটাকে কীভাবে আপনি চালিত করবেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য বিরাট শিক্ষিত বা নামজাদা পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকার প্রয়োজন নেই। বরং অনেক বেশি জরুরি হল অন্তরের তাগিদেই কিছু কাজ করা।·

এক নজরে

  •  অন্যদের খুশির খবর আনন্দের সঙ্গে শুনুন। মন খুলে হাসুন।
  •  পছন্দের গান শুনুন। গুনগুন করুন। পারলে একটু নেচেও নিন।
  •  খুশির মুহূর্তগুলি স্মৃতিপটে সাজিয়ে রাখুন। দুঃখকে বিদায় জানান।
  •  মাথা ঠান্ডা রেখে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করুন।
  •  সদর্থক ভাবনাচিন্তার মানুষের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান।
  •  মনের মধ্যে দুঃখ-কষ্ট চেপে না রেখে বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করুন।
  •  অন্যের পাশে দাঁড়ান।
  •  নেশা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।
  •  ওজন বাড়তে দেবেন না। শরীর ফিট রাখুন।
  •  কেরিয়ারের পাশাপাশি,বিবাহিত জীবন ও সেক্সলাইফ এনজয় করুন।
  •  কাজ, এন্টারটেইনমেন্ট এবং বিশ্রামের মধ্যে ভারসাম্য রাখুন।
  •  সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর সাহায্য নতুন নতুন বন্ধু বানান।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...