লিপস্টিক ভালোবাসেন? তাহলে জেনে রাখুন, এখন ফ্যাশনে ইন ঠোঁটে এক্সট্রিম ম্যাট ফিনিশ। এই নতুন বছরে কেবল আমাদের দেশে কেন, সব দেশেই চলছে ম্যাট লিপস্টিকের ক্রেজ৷যাদের ঠোঁট খুব শুষ্ক, তাদের জন্য এটি বেশ সুখবর। কারণ, এই ধরনের লিপস্টিকগুলো ম্যাট হওয়া সত্ত্বেও বেশ ময়েশ্চারাইজিং এফেক্ট থাকে। ধরুন, সকালে যদি আপনি একবার এই Lipstick ব্যবহার করেন, তাহলে সারাদিন বারবার টাচ-আপের ঝামেলা নেই বরং একসাথে এগুলো লিপবাম এবং লিপস্টিকের কাজ করে।

কিন্তু আপনার কষ্টের টাকায় যেন সেরা পণ্যটি বেছে নিতে পারেন, সেটাই সবসময় কাম্য। রেস্তরাঁ থেকে কসমেটিক্স, পোশাক থেকে জুতো, আসবাব, রান্নাঘর সামগ্রী, সবমিলিয়ে নিত্যদিনের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন, এমন সমস্ত পণ্যেরই ভালো-মন্দ আছে৷ কেনার আগে তাই এই বিষয়গুলি জেনে নিন৷আর Lipstick কেনার আগে অবশ্যই ভালোমতো সোয়াচ করে দেখবেন হাতের উলটো পিঠে। তাহলে আপনার গায়ের রং ও পছন্দ অনুযায়ী মিল করে কিনতে পারবেন।জেনে নিন Beauty tips for lipstick.

লিপস্টিক সম্পর্কে জানুন

যারা লিপস্টিক লাগাতে পছন্দ করেন, তারা লিপস্টিক তৈরির উপকরণ সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিন। বীজ ওয়াক্স, অয়েল আর কালার এই তিনটি উপাদানই মূলত লিপস্টিক-এ থাকে। খুব দামি লিপস্টিকে রেড ওয়াইনও থাকে। অনেকেই অবশ্য অ্যানিম্যাল ফ্যাট বা ট্যালো-যুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না। তাদের জন্য রয়েছে কনোভা ওয্যাক্স-যুক্ত লিপস্টিক, যার বেস তৈরি হয় পাম গাছের এক্সট্র‌্যাক্ট থেকে। লিপস্টিকের দাম নির্ভর করে এতে ব্যবহৃত উপকরণের উপর।

মিনারেল অয়েল, বা কোকোবাটার, যা দেওয়া হয় লিপস্টিকে, সেই অনুযাযী নির্ধারিত হয় এর বাজারদর। কোনও কোনও লিপস্টিকে থাকে ক্যাস্টর অয়েল, কিংবা জোজোবা অয়েল বা অলিভ অয়েল। তেলের দাম-টাও এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক।

লিপস্টিক-এ ব্যবহৃত তেলই আপনার ঠোঁটের কোমলতার জন্য কার‌্যকরী। কিন্তু সেই তেল ভালো মানের হয়, দামি লিপস্টিকেই। তাই এই প্রোডাক্ট ব্যবহার করার সময় খরচে কম্প্রোমাইজ নয়।

যে-লিপস্টিকে তেল বেশি, তাতে ঠোঁট গ্লসি দেখায়। যাতে ওয্যাক্স বেশি সেই লিপস্টিকে ম্যাট ভাব এবং কালার থিকনেস বেশি থাকে। তবে রঙের বিষয়টি নির্ভর করে কী ধরনের পিগমেন্ট এতে মেশানো হয়েছে, তার উপর।

লিপস্টিকে ক্ষতিকারক ধাতু সিসা ব্যবহৃত হয়। যত বেশিক্ষণ লিপস্টিক স্টে করবে বলে দাবি করা হয়, সেই লিপস্টিকে সিসার পরিমাণ তত বেশি। তাই খেয়াল রাখবেন এই বিষয়টি, লিপস্টিক কেনার সময়। চেষ্টা করবেন লিপস্টিকে প্যারাবিন, মিথাইল প্যারাবিন, পলিপ্যারাবিন, লিডন প্রভতি উপকরণ থাকলে, সেটা অ্যাভয়েড করতে। এর বদলে লিপস্টিকে যদি সোডিয়াম ভেজিয়ে, রেটিনল, সল্ট, ক্লে, মধু প্রভতি উপকরণ থাকে আপনার ঠোঁট নরম ও মসৃণ থাকবে।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...