ছোটো বাচ্চাদের সম্পূর্ণ বোধবুদ্ধি থাকে না। তাই তারা মা-বাবা, বিশেষ করে মায়ের উপর বেশি নির্ভরশীল থাকে। আর যেহেতু ছোটো থেকে বাচ্চাদের উপযুক্ত শিক্ষা এবং মানসিক বিকাশের প্রয়োজন হয়, তাই এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা দরকার।
বাড়িতে থাকার কারণে বাচ্চারা এখন অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলছে। আর যে-খাবার খাচ্ছে, তার বেশিরভাগ ফাস্ট ফুড। এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার, প্রয়োজনের থেকে বেশি খাবার খাওয়া এবং ফাস্ট ফুড এই দুইয়ের মিলিত প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকারক। বাচ্চার স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে এই ক্ষেত্রে। অতএব সতর্কতা জরুরি। এক্ষেত্রে শিশুর বিকাশ স্বাভাবিক রাখতে এবং রোগমুক্ত রাখতে, পুষ্টিযুক্ত সঠিক পরিমাণে খাবার বরাদ্দ করতে হবে। এরমধ্যে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার যেমন প্রোটিন, হেলদি কার্বোহাইড্রেড এবং গুড ফ্যাট জোগান দেওয়া আবশ্যক।
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সুষম খাবারের পাশাপাশি উপযুক্ত ভিটামিন এবং মিনারেল্সও রাখতে হবে শিশুদের খাদ্য তালিকায়। জেনে রাখুন, প্রোটিন শুধু শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটায় না, গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। আবার শরীরের হাড়সমূহ মজবুত রাখার জন্য ক্যালসিয়াম এবং খনিজ পদার্থেরও প্রয়োজন মজবুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে গেলে, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে সঠিক মাত্রায়। সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গেছে, অধিকাংশ ভারতীয় বাচ্চার প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে এবং এই সমস্যা শুধু গরিব পরিবারের বাচ্চাদের নয়, অর্থবান পরিবারের সন্তানদেরও রয়েছে। কারণ, বাচ্চারা উপযুক্ত খাবার খেতে চায় না, শুধু মুখরোচক খাবার খায়, তাই প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টির অভাব থাকে। এছাড়া, হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কিংবা স্থূতার কারণেও অনেক বাচ্চার স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয় এবং নানারকম লাইফস্টাইল ডিজিজ-এ ভোগে।
প্রত্যেক বাবা-মা তাদের বাচ্চার বাজে খাবার খাওয়ার অভ্যাসের জন্য ভীষণ অশান্তিতে থাকেন। কিন্তু ছোটো থেকেই শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুব্যবস্থা করার প্রয়োজন এবং তাদের যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো ভাবে গড়ে ওঠে, সেই ব্যবস্থা করা দরকার। এর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন শাকসবজি, টাটকা ফল ইত্যাদি ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ানোর ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে তা সবসময় সম্ভব হয় না নানা কারণে।
মনে রাখতে হবে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি, জিংক, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ প্রভৃতির প্রয়োজন।