দুঃসহ গরমের প্রকোপ বেড়েছে৷ এই পরিস্থিতিতেও বাইরে কাজে বেরোতেই হয়৷ কী পোশাক পরলে কাজে স্বস্তি পাবেন , সেটা একটা বিরাট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷গরমে দৈনন্দিন কাজ স্বচ্ছন্দে করতে, প্রয়োজন আরামদায়ক পোশাক।

গরমে বাইরের কাজ করার জন্য পোশাক বাছাইয়ের  বিষয়টাতে  কিছুটা সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এই সময় কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, পোশাকের রং কী হবে, কোন পোশাকের সঙ্গে কোন গয়না মানাবে- এই বিষয়গুলো ভেবে নিন, নাহলে দেখতে বিসদৃশ লাগবে।গরমে অতিরিক্ত জবরজং সাজ মোটেই মানায় না৷এইসময়ে সুতির শাড়ি নিঃসন্দেহে খুবই আরামদায়ক পোশাক৷ কিন্তু যারা শাড়ি এড়িয়ে চলতে চান, তারা প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য সুতি, লিলেন, টাই অ্যান্ড ডাই, হালকা প্রিন্ট ও বাটিকের সালোয়ার-কামিজ বেছে নিতে পারেন।

কুর্তি ও কামিজ

মেয়েদের নিত্য ব্যবহার্য পোশাক সালোয়ার কামিজে, বর্তমানে এসেছে নানা বৈচিত্র্য। পাজামা, ওড়না ও কামিজের বদলে লং কুর্তির সঙ্গে Pencil Pants, কিংবা Straight Pants আপনার অফিস বা কলেজের সাজটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। ভয়েল, পপলিন, প্রিন্ট, আদ্দি কটন, কটন জর্জেট, টিসি সিনথেটিক কালার ইত্যাদি কাপড়ের সমন্বয়ে প্রস্তুত হয়েছে পোশাকগুলি। পরা  যায় যে-কোনও লোয়ার দিয়ে৷ কেউ স্কার্টের সাথে টিম-আপ করেন৷ কেউ ফুল লেংথ  পালাজোর সঙ্গে ৷ তবে Ankle length Palazzo, এখনও সমান জনপ্রিয়৷

শুধু অফিস বা কলেজে পরার Casual dress হিসেবেই নয়৷আজকাল অনুষ্ঠানেও বেশ মানিয়ে যায় একটু ভারী কাজের কুর্তি বা কামিজ৷  স্টোন এবং স্ট্রিং পাইপের ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ ও কুর্তি ইদানীং বাজার বাজিমাত করেছে।কটন ও তাঁত কাপড়ে তৈরি সালোয়ার কামিজের মূল্য পড়বে ৮৫০ টাকা থেকে ১৮৫০ টাকা, জর্জেট এবং শিফনের মাঝারি সাইজের সালোয়ার কামিজ পড়বে ১১০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা এবং হেভি কাজ পড়বে ১৬০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও আদ্দি ভয়েল, অ্যাপ্লিক, মোটা সুতোর কাজ পড়বে ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা। প্রত্যেকটি শপিংমলেই বিক্রি হচ্ছে এই সম্ভার ।

সুতি কাপড়ের চাহিদাই গরমে সবচেয়ে বেশি।  প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে ডিজাইন ভ্যারিয়েশনের কোন বিকল্প নেই৷ তাই এ বছরেও নতুন কিছু ডিজাইনের ড্রেস এসেছে মল -গুলিতে যা খুবই আকর্ষণীয়। বিশেষ করে স্লিভলেস শর্ট কুর্তির উপর পাতলা লং স্রাগ এখন খুব চলছে৷ ফ্রক কাট ড্রেসও সমান জনপ্রিয়৷

আমাদের পরামর্শ হল, গরমের সময় পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুতির পাশাপাশি লিলেন কাপড়ের তৈরি পোশাক পরিধান করাই ভালো। স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা শর্ট টপ, লং কামিজ, স্কার্ট ইত্যাদি পরতে বেশি পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে অ্যাপ্লিক, টাই অ্যান্ড ডাই, বাটিক, ব্লকপ্রিন্ট ইত্যাদি  ডিজাইনের টপ বেশ উপযোগী। এছাড়া ঘেরদার লং ড্রেস তো আছেই৷

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...