আমার বয়স ১৫ বছর ১৫ দিন পরপর আমার পিরিয়ড শুরু হয়ে যায় ডাক্তার দেখিয়েছি উনি আমাকে ওষুধ দিয়েছেন ওষুধ খেলে আরাম পাই কিন্তু যেই খাওয়া ছেড়ে দিই আবার ওই একই সমস্যা হয় আমার কোনও বড়ো অসুখ করেনি তো? Irregular period problem -এক সমাধান জানালে উপকৃত হই৷

প্রথম পিরিয়ড শুরু হওয়ার দুই বছর ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, কিন্তু যদি সেই সময়ের পরেও একই রকম হয়, তা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। পিরিয়ড চলাকালে পেটে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, মানসিক অবসাদ, বিরক্তিও খুব সাধারণ ঘটনা।

কিশোর অবস্থায় প্রথম দিকে Hormonal changes খুব বেশি হয়ে থাকে। সেই কারণে পিরিয়ড-এর দিন কখনও এগিয়ে বা পিছিয়ে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক। খুব কম সময়ের গ্যাপে বারবার পিরিয়ডস হওয়ার ফলে শারীরিক দুর্বলতা, রক্ত কমে যাওয়া, দুশ্চিন্তা এগুলো হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

এই পরিস্থিতিতে, এটাকে অস্বাভাবিক মনে করে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাওয়ার সময় দিন। এটা কোনও বড়ো রোগের লক্ষণ নয়। রজস্বলা হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ কিশোরীর শরীর, নিজে থেকেই মাসিকচক্রের নিজস্ব লয় নিজেই ঠিক করে নেয়। তা সত্ত্বেও যদি ধৈর্যচ্যুতি ঘটে, অথবা শরীরে রক্তের অভাব দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।

চিকিৎসকরা বলছেন, যদি Menstrual cycle সময় পরিবর্তিত হয়, তবে সেটাই অনিয়মিত পিরিয়ডস। পিরিয়ডস তাড়াতাড়ি বা দেরিতে হতে পারে বা এমনকী কিছু মাস এড়িয়েও যেতে পারে। অনেকের দেরিতে পিরিয়ড হয় আর তার সঙ্গে চলে অসহ্য পেটে ব্যথা। এগুলো মোটেই অবহেলা করবেন না, নইলে বাধবে বিপদ। সতর্ক করেছেন তারা।

গাইনোকলিস্ট জানাচ্ছেন, যে ভারী বা অনিয়মিত মাসিক নানা ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে।মহিলাদের মধ্যে এটা খুব সাধারণ ব্যাপার।

কিছু স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত অবস্থা: থাইরয়েড সমস্যা, পিআইডি (পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ), এন্ডোমেট্রিওসিস অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ হতে পারে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোন ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন জরায়ুর আস্তরণের গঠন নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনগুলির বৃদ্ধির ফলে ভারী রক্তপাত হতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সেই সব মেয়েদের মধ্যে, যাদের গত দেড় বছরে প্রথম পিরিয়ড শুরু হয়েছে। আবার মেনোপজের দিকে যাওয়া মহিলাদেরও একই সমস্যা হতে পারে৷

ডাক্তার সাধারণত হরমোনের ওষুধ দিয়ে মাসিকচক্রের লয় সঠিক করবার চেষ্টা করেন। আপনার ক্ষেত্রেও ডাক্তার এটাই করে থাকবেন। কিন্তু এই চেষ্টা বেশ কিছুমাস ধরে চলতে পারে। যতদিন না সমস্যার সমাধান হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই হরমোনের ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। এছাড়া খাওয়াদাওয়ার প্রতিও বিশেষ খেয়াল রাখুন। বারবার রক্ত শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া, ঠিক নয়। অন্যথায়, সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি প্রকৃতির হাতে নিজেকে ছেড়ে দিতে পারেন।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...