কালো, ঘন, লম্বা ও রেশমের মতো চুল, সব মহিলাদেরই কাছেই বহু আকাঙ্খিত। কিন্তু খুব কম মহিলাই জানেন চুলের রূপ-গুণ দুই-ই নির্ভর করে সুস্বাস্থ্যের উপর। এর জন্য সঠিক পদ্ধতিতে Hair care করা একান্ত জরুরি। পুষ্টিকর ডায়েট, দূষণমুক্ত পরিবেশ বহুকাল চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখে। কিন্তু আজকের ফাস্ট লাইফের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে প্রায় সব মহিলাকে বাইরে বেরতে ও দূষণের সম্মুখীন হতে হয়। তাই চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে Hair care নিতে হবে। তবে এই যত্ন চুলের প্রকৃতি, ঘনত্ব ও সার্বিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে করা উচিত।
কীভাবে নেবেন চুলের যত্ন তারই কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করা হল –
– ভিজে চুল কখনও বেঁধে রাখবেন না। এতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে ঝরে যায়।
– সব সময় চুল পরিষ্কার রাখুন। আর পরিষ্কার রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুল শ্যাম্পু করুন।
– ভিজে চুল না আঁচড়ানোই ভালো। কারণ এতে চুলের গোড়ায় চাপ পড়ে চুল উঠে যায়।
– চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান সঠিক পদ্ধতিতে যাতে প্রতিটি চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছে চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে।
– আপনার চুলের প্রকৃতি যদি ড্রাই হয় সেক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় ভালো করে তেল দিয়ে আঙুলের ডগা দিয়ে মালিশ করা উচিত। মালিশের আগে তেল একটু গরম করে নিলে আরও ভালো হয়।
– চুলে অয়েল মাসাজের পর একটি ডিম ফেটিয়ে লাগিয়ে নিতে পারেন। এর কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে নিন।
– যে-তেল ও শ্যাম্পু আপনি ব্যবহার করছেন, দেখে নিন, সেটিতে আপনার কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা।
– চুলে অন্য লুক দিতে যদি ডাই বা রং ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাবেন যাতে চুলের কোমলতা বজায় থাকে।
– মাথার ত্বকে খুশকি জমতে দেবেন না। শুষ্ক ত্বকে খুশকির সমস্যা হয়। তাই নিয়মিত তেল মাসাজ করুন।
– চুলে সপ্তাহে একদিন স্টিম থেরাপি করতে পারেন। এতে চুলের সঙ্গে মাথার ত্বকও পরিষ্কার হয়। গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে নিঙড়ে চুলে জড়িয়ে রাখুন। ৫-১০ মিনিট ধরে এই স্টিম থেরাপি করলেই হবে।
– তেল, শ্যাম্পু, কালার অথবা ডাই কোনওটাই যেন নিম্নমানের না হয়। ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।
– সর্বোপরি রোজকার ডায়েট-চার্টে রাখুন টাটকা সবুজ শাক সবজি, ফল, অঙ্কুরিত ছোলা, ভিটামিনে ভরপুর খাদ্য ও প্রচুর জল। এড়িয়ে চলুন অত্যধিক তেল-মশলাযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংস ইত্যাদি।
