শুধু বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণেই নয়, অকালেও ত্বকের জৌলুস হারিয়ে ফেলেন মায়েরা। দুঃশ্চিন্তা, কম ঘুম, শরীরের সঠিক যত্ন না নেওয়া প্রভৃতি কারণে অনেকেরই ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে অকালে। বিশেষ করে মুখেচোখে বার্ধক্যের রেখাগুলি স্পষ্ট হয় আগে। আর সৌন্দর্য‌ কমতে থাকলে আত্মবিশ্বাসও কমতে থাকে।

একসময় Cosmetic anti ageing প্রক্রিয়া বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সৌন্দর্য‌ ধরে রাখার জন্য এবং সৌন্দ‌র্য বাড়ানোর জন্য অনেকেই এই প্রক্রিয়াকে মাধ্যম করেছেন। আবার কেউ কেউ শুধু ইঞ্জেকশন এবং ডার্মাল ফিলারকে মাধ্যম করেও সৌন্দর্য‌ ধরে রেখেছেন। তবে শুধু এখানেই থেমে নেই বিউটি ট্রিটমেন্ট-এর বিষয়টি। আজকাল অনেক মহিলা Facial rejuvenation surgery অর্থাৎ ফেসলিফ্ট সার্জারি-কেও মাধ্যম করছেন সৌন্দর্য‌ বর্ধনে।

Face-lift বিষয়টি আসলে কী?

ফেসলিফ্ট হল এক ধরনের কসমেটিক সার্জারি। এই সার্জারির মাধ্যমে শিথিল হয়ে যাওয়া ত্বককে টানটান রূপ দিয়ে, ত্বকের তারুণ্য ফিরিয়ে আনা যায়। আগে শুধু মুখের অংশ ঠিক করা যেত এই সার্জারির মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে গলা এবং ঘাড়ের ত্বকও টানটান করে দেওয়া যায়। অবশ্য শুধু ত্বক-ই নয়, শিথিল হওয়া মাংশপেশিও ঠিক করা যায় এই সার্জারির মাধ্যমে। এমনকী ফ্যাটও সরিয়ে ফেলা যায়।

ফেসলিফ্ট সার্জারি-কে মাধ্যম করে যে-সমস্ত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে, তা হল—

  • মুখ এবং নাকের শিথিল ত্বক টানটান করে দেওয়া যায়
  • গলার ত্বক ঠিক করা যায়
  • ঘাড়ের অংশের ত্বক এবং মাংসপেশির শিথিলতা দূর করা যায়
  • মুখমণ্ডলের যে-কোনও অংশের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলা যায় এই সার্জারির মাধ্যমে।

এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ফেসিয়াল ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে সৌন্দর্য‌ ধরে রাখা যায় ৮ মাস থেকে ২ বছর কিন্তু ফেসলিফ্ট সার্জারির পর সৌন্দর্য‌ বজায় থাকে প্রায় ১০ বছর।

কারা এই সার্জারি করাতে পারবেন

অকালে যাদের মুখের ত্বক জৌলুস হারিয়েছে কিংবা যারা বয়স বাড়লেও আরও কিছুদিন সৌন্দর্য‌ ধরে রাখতে চান, তারাই সাধারণত এই ধরনের বিউটি ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। ফেসলিফ্ট সার্জারি করাতে হলে যে-দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল

  • ধূমপান এবং মদ্যপান করা যাবে না
  • অন্য কোনও বড়ো অসুখ থাকলে এই সার্জারি করা যাবে না।

ফেসলিফ্ট সার্জারির সুফল

  • মুখমণ্ডলের মাংসপেশি টাইট থাকে এবং ত্বকের জৌলুস বাড়াতে সাহায্য করে
  • চোয়াল এবং ঘাড়ের শেপ বজায় রাখে
  • কোনও সার্জারির দাগ থাকলে তা দূর করা যায়
  • স্বাভাবিক সৌন্দর্য‌ ফিরে পাওয়া যায় এবং দীর্ঘদিন সৌন্দর্য‌ বজায় থাকে।

ফেসলিফ্ট সার্জারির সাইড এফেক্ট

বেশিরভাগ সার্জারির যেমন কিছু সাইড এফেক্ট থাকে, ফেসলিফ্ট সার্জারিরও তেমনই কিছু সাইড এফেক্ট আছে। যেমন—

  • অ্যানেস্থেসিয়া-র কুপ্রভাব পড়তে পারে
  • কিছুটা রক্তক্ষয় হতে পারে
  • সংক্রমণের ভয় থাকে
  • রক্ত জমে যেতে পারে
  • যন্ত্রণা হতে পারে
  • দীর্ঘ সময় ফোলা ভাব থাকতে পারে
  • ঠিক হতে সময় লাগে।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...