ফরসা রং, মসৃণ এবং ইভেনটোন ত্বক সব বয়সি মেয়েদেরই ফার্স্ট প্রায়োরিটি। এগুলি পেতে হলে সবথেকে কমন বিউটি ট্রিটমেন্ট হল ‘Bleaching’। ব্লিচ মুখের রোমের রং হালকা করে, ফলে রোম ৱুঝতে পারা যায় না এবং ত্বকও সুন্দর ও ফরসা লাগে দেখতে। বাজারে নানা ধরনের ব্লিচ দেখতে পাওয়া যায়। সুতরাং ব্যবহারের আগে ব্লিচ সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য জেনে রাখা একান্ত দরকার।
প্রোটিন হাইড্রা ব্লিচ
এই Bleach বলিরেখা, এজিং, পিগমেনটেশন, ডার্ক স্পট এবং আনইভন স্কিনটোন-এর মতো সমস্যার ক্ষেত্রে কার্যকরী। এটি ফেসিয়াল হেয়ারকে লাইটটোন করে সঙ্গে পিগমেনটেশনের সমস্যাও দূর করে। এর ফলে ত্বকের রং-ও অনেক হালকা লাগে দেখতে। এটি ত্বককে ডিপ ক্লিন করে ত্বকের পোরস রিফাইন করে এবং সান ট্যান রিমুভ করতেও সহায়ক। সব ধরনের স্কিনটোনের জন্যই এটি উপযুক্ত, এমনকী সেন্সিটিভ স্কিনেও এটি কোনও সমস্যা তৈরি করে না। কোনও ভালো স্যালনে গিয়ে ট্রেন্ড বিউটিশিয়ানকে দিয়ে প্রোটিন হাইড্রা ব্লিচ করানো বাঞ্ছনীয়।
এক্সট্রা অয়েল কন্ট্রোল
মাত্রাতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ব্লিচ ব্যবহার করলে ত্বকে মেলানিন পিগমেন্ট কম হয়। মেলানিন পিগমেন্ট যত কম হবে, ত্বক ততই ফরসা লাগবে দেখতে। একই সঙ্গে এই Bleach ত্বকের এক্সট্রা অয়েল কন্ট্রোল করে ত্বকের মৃত কোশ হটাতে সাহায্য করে।
হাইড্রেটিং ব্লিচ
শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ব্লিচ খুবই কার্যকরী। এই ব্লিচ ত্বকের ভিতর ঢুকে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। ফলে, ত্বক কোমল, মসৃণ, ফরসা এবং সুস্থ লাগে দেখতে।
ব্লিচের রকমফের
পাউডার ব্লিচ অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন পারোক্সাইড এবং ব্লিচ পাউডারের মিশ্রণ ডার্ক স্পট এবং বলিরেখার জন্য সবথেকে ভালো ব্লিচ। ট্রেনড হাতের মাধ্যমেই এই ব্লিচ লাগানো উচিত। কারণ সঠিক পরিমাণে এই ব্লিচ ব্যবহার না করলে ত্বকের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ক্রিম ব্লিচ
ক্রিম ব্লিচ-ই সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহার করা খুব সহজ। এটি ক্রিম ব্লিচ এবং অ্যাক্টিভেটার-এর মিলিত রূপ।
মিশ্রণ বানাবার উপায়
4 ভাগ ব্লিচ ক্রিমের সঙ্গে 1 ভাগ অ্যাক্টিভেটার ঢেলে স্প্যাচুলার সাহায্যে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণের মধ্যে লাম্প যেন না থাকে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি ভালো কাজ করবে এই ভেবে অ্যাক্টিভেটারের মাত্রা বাড়ালে ভবিষ্যতে পিগমেনটেশনে সমস্যা হতে পারে। ত্বক জ্বলে যাওয়ার সমস্যাও হতে পারে।
প্যাচ টেস্ট
প্রথমবার ব্লিচ ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া খুব দরকার। তাই ব্যবহার করার আগে মিশ্রণ থেকে সামান্য ব্লিচ তুলে নিয়ে হাতে লাগিয়ে দেখে নিতে হবে। যদি জ্বালা করে অথবা জায়গাটা লাল হয়ে যায় তাহলে ওই ব্লিচ মুখে না লাগানোই ভালো।
ব্লিচ লাগাবার আগে
ব্লিচ লাগাবার আগে মুখ ফেসওয়াশ এবং ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া দরকার। ব্লিচের ঠিক আগে কিংবা ব্লিচ করার ঠিক পরেই খেয়াল রাখা উচিত মুখে একেবারে গরমজল অথবা স্ক্রাব যেন না লাগানো হয়। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। স্প্যাচুলা বা আঙুলের সাহায্যে ব্লিচ মুখের উপর থেকে নীচের দিকে লাগানো উচিত। চোখ, ভুরু এবং ঠোঁটে ব্লিচ লাগানো উচিত নয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্লিচ মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে এবং এরপর তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। মুখ পরিষ্কার হয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।