আমি ৫ মাসের সন্তানসম্ভবা। এটি আমার প্রথম Pregnancy। এই সময়ে আমি এবং আমার স্বামী ঠিক করেছি মায়ের কাছে থেকে ডেলিভারি করানো সবথেকে ভালো। আমার যেহেতু শাশুড়িমা জীবিত নেই তাই মায়ের কাছে গিয়ে থাকাটাই বুদ্ধিবিবেচনার কাজ হবে। মায়ের পক্ষে আমার অসুস্থ বাবাকে একা ছেড়ে আসাটা সম্ভব নয়। মায়েরও ইচ্ছে আমি এ কটা মাস মায়ের কাছে গিয়ে থাকি। তাই মায়ের কাছে যাব ঠিক করেছি। কিন্তু প্রেগন্যান্সির সময় জার্নি করাটা কি  আদৌ নিরাপদ? দিল্লি থেকে আমাকে এলাহাবাদ যেতে হবে, ওখানেই আমার বাপের বাড়ি। ট্রেন, এরোপ্লেন না গাড়ি, কোনটা সবথেকে সুরক্ষিত এই ক্ষেত্রে জার্নি করার জন্য?

বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলারা শিশুর সুরক্ষার কারণেই বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণের সময় উদ্বিগ্ন হন। গর্ভাবস্থায় কোথাও যেতে হলে তার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘপথ জার্নি করার অনুমতি যদি তিনি দেন তবেই যাওয়া বাঞ্ছনীয়। কারণ এই অবস্থায়, গর্ভবতী এবং তার অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য, ক্ষতিকর কিংবা যেখানে ক্ষতির আশঙ্কা আছে, সেসব বিষয় থেকে অবশ্যই দূরে থাকার চেষ্টা করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল গর্ভাবস্থাকালীন আপনার শিশুটিকে সুরক্ষিত রাখা। কোনও রকম অপ্রয়োজনীয় জটিলতা রোধ করা উচিত।

আপনি Pregnancy-র দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়কালে রয়েছেন। সুতরাং সাধারনত এই সময় ট্রেন, প্লেন বা গাড়ি কোনও একটা-তেই ইচ্ছেমতন সফর করা যেতে পারে। মা ও শিশুর জন্য এই সময়টা সেফ। ট্রেন যেহেতু সোজা লাইনে চলে, এবড়োখেবড়ো রাস্তায় নয় সেহেতু ঝাঁকানি বা হঠাৎ করে ব্রেক লাগা এগুলো একেবারেই থাকে না। জল খাওয়ার হলে বা আরাম করার হলে সহজেই ট্রেনের মধ্যে সেগুলো করা যায় ৷

প্লেনে ৩২ সপ্তাহ পর ট্রাভেল করার অনুমতি পাওয়া যায়। গাড়িতে ধাক্কা লাগা বা ব্রেক কষার একটা আশঙ্কা থাকে। প্লেনে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। সুতরাং ৩২ মাসের আগে প্লেনে ট্রাভেল করতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। গাড়িতে ট্রাভেল করতে হলে মূত্রত্যাগের একটা বড়ো সমস্যা হয় কারণ রাস্তার টয়লেট ব্যবহার হাইজিনের দিক থেকে সেফ নয়। এছাড়াও রাস্তায় বমির সমস্যাও হতে পারে। সেজন্য সুরক্ষিত এবং আরামে ট্রাভেল করার জন্য ট্রেন হল সবথেকে ভালো উপায়। হাত-পা ছড়িয়ে আরামে আপনি যাত্রা করতে পারবেন।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...