অবসর জীবনের জন্য
রিটায়ারমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যেহেতু কর্মরতা, তাই অবসরের পর আপনার অর্থনৈতিক অবস্থায় যাতে হেরফের না হয়, তাই আগে থেকেই তার ব্যবস্থা নিন। আপনার স্বামীকেও এ ব্যাপারে সচেতন করুন, যাতে তিনি পর্যাপ্ত সঞ্চয় করে ফেলতে পারেন। রিটায়ারমেন্ট-এ শুরু পর্যন্ত আপনাকে কতটা সঞ্চয় করতে হবে, সেটা ফিন্যান্স কনসালট্যান্ট-এর কাছে জেনে নিন। এটা মাথায় রাখবেন যে সঞ্চয়কালীন সময়ে আপনাকে মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীনও হতে হবে। তাই সময় থাকতে থাকতে সঞ্চয় শুরু করুন, যাতে আপনার অবসরপ্রাপ্ত জীবনটাও স্বাধীন ভাবে, স্বচ্ছল ভাবে কাটাতে পারেন।
সঞ্চয়ের পাশাপাশি বিনিয়োগ জরুরি
শুধু সঞ্চয় করলেই চলবে না, একই সঙ্গে বিনিয়োগও জরুরি। তাই আপনার মাসিক আয় খরচ করার সঙ্গে সঙ্গে, কিছু টাকা বিনিয়োগের জন্য অবশ্যই রাখুন। টাকার পরিমাণ বাড়াতে হলে, সঠিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগও জরুরি। এ ব্যাপারে আপনাকে কনসালট্যান্ট-ই দিশা দেখাতে পারেন, যে টাকাটা আপনি মিউচুয়াল ফান্ড নাকি স্টক এক্সচেঞ্জে রোল করাবেন।
আধুনিক বিনিয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান
চিরাচরিত ব্যাংকে টাকা জমানো, ডাকঘর যোজনা বা গোল্ড-এ ইনভেস্ট করাই যায়। কিন্তু এছাড়াও অর্থ বাড়ানোর আরও নতুন নতুন পন্থা বাজারে এসেছে, সেগুলো সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল হতে হবে। লাভজনক মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড প্রভৃতিও আপনার বিনিয়োগের ভালো ক্ষেত্র হতে পারে যা আপনার অর্থকে কয়েকগুণ বাড়াতে পারে। ইন্টারনেটে এই সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিয়ে, তারপর বিনিয়োগ করুন।
ফ্ল্যাট কেনা এখনই নয়
অনেকেই মনে করেন স্থাবর সম্পত্তি আখেরে অত্যন্ত লাভজনক, তাই ফ্ল্যাট কিনে টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করা একেবারেই উচিত নয়। যখন মনে করবেন আপনার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি লোন পরিশোধের জন্য উপযুক্ত, তখনই ফ্ল্যাটের কথা ভাবুন। এর জন্য আপনি আপনার কেরিয়ার তথা চাকরিতে কতটা স্থিতিশীল, সেটা আপনাকেই বিবেচনা করতে হবে। পরিস্থিতি অনুকূল মনে করলে, আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে যৌথ ভাবে এই বিনিয়োগ করতে পারেন।
বিমায় বিনিয়োগ
পরিবারের সব সদস্যের মতোই গৃহিণীরও বিমা সুরক্ষা থাকা উচিত। আপনার জীবনসঙ্গীর করা বিমাতেও আপনি যথেষ্ট কভার্ড কিনা সেটা বিবেচনা করে নিজের জন্যও একটি স্বতন্ত্র বিমা করান। আপনি কাউকে নমিনি রেখে বিমা করাতেই পারেন, তবে অবশ্যই শর্তাবলী ভালো ভাবে দেখে নেবেন। এর দ্বারা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি বিশেষ করে জটিল রোগ অসুখে হসপিটালাইজেশনের ঝক্কি আপনি সামলে নিতে পারবেন।
অনলাইন ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট
পরিবারের দেখাশোনা, কর্মক্ষেত্রের চাপ এসব সামলে আপনাকে নিজের ফিন্যান্সিয়াল বিষয়গুলিও নিজের হাতে ম্যানেজ করতে হবে। অর্থ বিনিয়োগ করে নিশ্চিন্তে বসে থাকলে চলবে না। সময়ে সময়ে নতুন নতুন স্কিমের খোঁজখবর রেখে, অর্থ বাড়ানোর উপায় করতে হবে। অর্থের হিসাবরক্ষকও আপনি নিজেই। আপনাকে সাহায্য করবে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন। অনলাইন পদ্ধতিগুলির ব্যাপারেও আপডেটেড থাকুন। এর দ্বারা খুব কম সময়ে এবং অল্প আয়াসের মধ্যেই আপনি ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট করে ফেলতে পারবেন। স্মার্ট পদ্ধতিতে অর্থের রক্ষণাবেক্ষণ আপনাকে প্রভূত সাহায্য করবে।