গর্ভাবস্থায় মা এবং গর্ভের শিশুর ওজন যদি বেশি থাকে তাহলে কি নর্মাল ডেলিভারি হতে সমস্যা হতে পারে? কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব?
সন্তানসম্ভবা মা এবং গর্ভের সন্তানের ওজন বাড়াটা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু একটা লিমিট পর্যন্ত। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরের প্রতি বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। মায়ের ভালোমন্দের সঙ্গে ভাবী সন্তানেরও ভালোমন্দ জড়িয়ে থাকে। এই অবস্থায় মায়ের ওজন বাড়বে, এটা খুব সাধারণ এবং স্বাভাবিক বিষয়। এই সময় ১০ থেকে ১৫ কিলোগ্রাম ওজন বাড়তে পারে। এমনিতে মহিলার ওজন নির্ভর করে তার শরীরের আকার এবং Pregnancy-র আগে কত ওজন ছিল তার উপর। সুতরাং গর্ভাবস্থায় সকলের ওজন একইরকম বাড়ে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রথম তিন মাসে ওজন খুব বেশি বৃদ্ধি পায় না। অরুচি, বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা সাধারণত Pregnancy-র প্রথম দিকেই দেখা যায়। বমির কারণে খাওয়াদাওয়াতেও অনীহা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর থেকে মায়ের ওজন বাড়তে শুরু করে। সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম দিতে হলে মায়ের ওজন বাড়াটা দরকার। শিশু এবং মায়ের সঠিক ওজন বাড়ার জন্য সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা দরকার। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে সঙ্গে মাছ মাংস ডিম, দুধ, দই, বাদাম ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও খুব দরকার। পর্যাপ্ত জল খাওয়ার সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ মতো হালকা ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করাটাও দরকার।
তবে অতিরিক্ত তেল, চর্বিযুক্ত খাবার এসময় এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। প্রেগনেন্ট অবস্থায় বেশি খেয়ে ওজন বাড়াবার মতো ভুল কাজ করবেন না। মা এবং গর্ভস্থ শিশুর মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়াটা দু’জনের জন্যই আশঙ্কজনক হতে পারে। এতে নর্মাল ডেলিভারি হতে যেমন প্রবলেম হবে, তেমনি হাই ব্লাডপ্রেশার, জেস্টেশনাল ডায়াবিটিজ, ফেটাল ম্যাক্রোসোমিয়া (স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বড়ো আকারের শিশুর জন্ম হওয়া), সময়ের আগে প্রসব হওয়ার ভয়ও থাকবে। এছাড়াও স্টিলবার্থ অর্থাৎ মৃত শিশুর জন্ম হওয়ারও ভয় থাকে। সুতরাং Pregnancy-কালীন বারবার শরীরের ওজন নিতে থাকুন এবং সর্বদা ডাক্তারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখুন।