‘মুকুট’ এমন একজন মেয়ের গল্প, যাকে তার বাবা বড়ো করে তুলেছেন নীতি এবং আদর্শের শিক্ষা দিয়ে। তিনি দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে পারদর্শী ছিলেন। তার মতাদর্শ এমন যে, তিনি মনে করেন, মা দুর্গা অস্ত্রে সজ্জিত ঠিকই কিন্তু অস্ত্র দিয়ে নয়, ভালোবাসা এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সমস্ত বাধা অতিক্রম করার জন্য-ই মা দুর্গা। যাইহোক, নারী পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই এবং প্রান্তিক ব্যক্তিদের জীবনকে উন্নত করার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে ‘মুকুট’ ধারাবাহিকের কাহিনিতে।

ধারাবাহিক্টির মুখ্য চরিত্রের জীবনে হঠাৎই বদলে যাবে। মেয়েটির শ্বশুর বাড়ির একজন সদস্য গভীরভাবে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত। এখান থেকে গল্পটি একটি আকর্ষণীয় মোড় নেবে। নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ নিয়ে বাংলার প্রাণকেন্দ্রে বেড়ে উঠেছে ‘মুকুট’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র। প্রেমময় প্রকৃতিকে পুঁজি করে, চারপাশে ঘটতে থাকা বিভিন্ন সামাজিক প্রতিবন্ধকতার সমাধান করতে থাকে সে। যদি কোনও অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি দেখা দেয়, তাহলে তা সামলে নেওয়ার ক্ষমতাও রাখে। এভাবেই জি বাংলা-র পর্দায় নারী চরিত্র উপস্থাপন করতে চলেছে, যা দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

গল্পটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে বলেও জানানো হয়েছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাদের প্রতিটি চরিত্রকে বাস্তব এবং যুক্তিযুক্ত করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন চিফ ক্লাস্টার অফিসার (ইস্ট) সম্রাট ঘোষ। আরও জানানো হয়েছে, ধারাবাহিকের কাহিনিতে প্রাধান্য পাবে বোঝাপড়া, সহানুভূতি এবং সম্মান।  শুধু তাই নয়,  প্রেমের সম্পর্ককে লালন করে, সমাজে কীভাবে শান্তি বজায় রাখতে হয়, তাও প্রতিফলিত হবে ধারাবাহিকটির মাধ্যমে। পরিবারে যখন ঝড় উঠবে, তখন সেই পরিবার ভেঙে না দিয়ে,কীভাবে সবকিছু রক্ষা করবে, তা-ই হবে ধারাবাহিকটির প্রধান আকর্ষণ, এই কথা জানিয়েছেন জি বাংলা-র বিজনেস হেড নবনীতা চক্রবর্তী।

‘মুকুট’-এর অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে শ্রীপর্ণা রায়, আনন্দ ঘোষ এবং শুভাশিস মুখোপাধ্যায়-কে। ‘ব্লুজ প্রোডাকশন’-এর ব্যানারে, ‘মুকুট’ শীর্ষক মেগা ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। যিনি এই ধারাবাহিক-এর সঙ্গীত পরিচালকও।

২৭ মার্চ, ২০২৩ থেকে শুরু করে, প্রতি সোম থেকে শুক্রবার রাত ৯টা ৩০মিনিটে, শুধুমাত্র জি বাংলা-য় উপভোগ করতে পারবেন ‘মুকুট’ মেগা ধারাবাহিকটি।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...