সামনেই বিয়ে। আপনার জীবনের বিশেষ দিন। সুতরাং কোনও দিকেই কোনও খুঁত থাকা চলবে না। ড্রেস থেকে শুরু করে মেক-আপ সব কিছু হতে হবে একদম পারফেক্ট। বিয়ের কয়েক দিন আগে থেকেই আপনি ব্যস্ত হয়ে যাবে কেনাকাটি করতে। বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে দিনটা আনন্দে কাটাতে। এর মাঝে  ভুলে যাবেন না ত্বকের যত্ন নিতে। বিয়ের আগে দাগ-ছোপহীন উজ্জ্বল, মসৃণ, পেলব ত্বক পেতে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন। এর জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু করতে হবে না। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং- এই তিনটি বেসিক জিনিস মেনে চললেই যথেষ্ট।আরও কিছু পরামর্শ রইল এখানে৷

বদলে ফেলুন রোজনামচা : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারটাই সবার আগে মাথায় আসে। সেক্ষেত্রে নিয়ম করে সপ্তাহে তিনদিন সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। রেগুলার বেসিকে সালফেট যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে মাথার ত্বক এবং চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। চুল শুষ্ক আর নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। তাই শ্যাম্পু বাছার সময় একটু সচেতন থাকুন। শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন। এতে চুল জেল্লাদার হবে। সঙ্গে রেশমের মতো মোলায়েমও। চুলের পুষ্টির জন্য তেল মালিশ এক অসাধারণ পন্থা। মা-ঠাকুমারা বরাবর বলে এসেছেন তেলের পুষ্টিগুণের কথা। এতে যেমন চুলের গোড়া শক্ত হয় তেমনি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, চুলকে করে তোলে প্রাণবন্ত। প্রথমে কোনও উপাদান ছাড়াই হালকা হাতে চুলের গোড়ায় মাসাজ করুন। তারপর তেল লাগান। এতে মাথার ত্বকের সমস্ত রোমছিদ্রের ভিতরে তেল প্রবেশ করবে। ৩০-৪৫ মিনিট রেখে ভালো ভাবে শ্যাম্পু করে নেবেন। তবে মাথায় রাখবেন কেমিক্যাল-যুক্ত তেল একেবারেই ব্যবহার করবেন না।

হোম রেমিডি : অল্প কোঁকড়ানো চুলের জন্য অ্যাভোকাডো আর ডিমের প্যাক দারুণ কার্যকর। অ্যাভোকাডো-র মধ্যে পর্যাপ্ত মাত্রায় ফ্যাট আর ভিটামিন-ই এবং ডিমে থাকা প্রোটিন চুলকে মজবুত করে তোলে। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার লাগালে কোঁকড়ানো ভাবও কমে যাবে আর চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, ঝকঝকে। চুল মজবুত বানাতে ঘরেই রেমিডি বানিয়ে ফেলুন। আদা, জবাফুল আর তিল তেল মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন চুলের টনিক৷ মাথায় লাগিয়ে মিনিট পঁয়তাল্লিশ রেখে দিন। পরে ধুয়ে নিন। সুফল পেতে সপ্তাহে ২- ৩ বার প্রয়োগ করুন।

রুটস লাইট থেরাপি : এটি পুরোপুরি নতুন পদ্ধতি। রুটস লাইট থেরাপি বায়োসিনথেসিস-এর শক্তিকে কাজে লাগায়। এই পদ্ধতিতে নতুন চুল গজায় এবং চুলও বৃদ্ধি হয়। এর কোনও সাইড এফেক্ট নেই এবং এটি যন্ত্রণাদায়কও নয়। এটির জন্য সময় লাগে ২০-৩০ মিনিট।

আরও কিছু ঘরোয়া টিপ্ :

  • ঠোঁটে কালো ছোপ থাকলে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে নিয়মিত ঠোঁট মুছুন। দেখবেন ধীরে ধীরে ঠোটের কালোভাব চলে গেছে।
  • ব্রণ মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। রসুনের কোয়া এক্ষেত্রে ভালো উপায় হতে পারে।
  • স্নানের আগে নিয়মিত বেসন, দুধ আর হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে, হাতে পায়ে লাগান। হালকা হাতে রাব করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক ঝকঝক করবে।
  • হাত পা সুন্দর এবং কোমল রাখতে আপেলের খোসা ভীষণ কার্যকর। এর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
  • মরাকোশ তুলতে কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করুন।
  • অতিরিক্ত রুক্ষ্ম ত্বক থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেস্ট ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের বলিরেখাও দূর হয়।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...