অনেকেরই অতিরিক্ত প্যানিকড হওয়ার বদভ্যাস থাকে। খুব সহজেই তারা বিচলিত হয়ে পড়েন। অজানা সমস্যায় জর্জরিত হতে হবে, এই আশঙ্কা আর উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন কাটান। ভবিষ্যতে কী বিপদ হতে পারে, এটা ভেবে বর্তমান সময়টার মজা উপভোগ করতে পারেন না এঁরা। এই সমস্ত মানুষদের জন্য আমাদের পরামর্শ এই অভ্যাস আমূল ত্যাগ করুন । সিদ্ধান্ত নিন, অমূলক চিন্তা করবেন না।
সমস্যা কতটা গভীরে?
সংসারে থাকতে গেলে ছোটো-বড়ো ঝগড়া অশান্তি হতেই পারে। কিন্তু অনেকের অভ্যাস হল কথার পিঠে হওয়া কথা নিয়ে ভাবতে থাকা। কোনও একটি পরিস্থিতি তৈরি হলে তিক্ত কথার আদানপ্রদান হয়। কিন্তু সেগুলির মর্মার্থ বা ফলাফল খুব সুদূরপ্রসারী হয় না। আপনি যদি সেই ঘটনার চর্বিতচর্বন করেন মনে মনে, তাহলে ক্ষণিকের জন্যও শান্তি পাবেন না। তাই যখনকার ঝগড়া তখনই মিটিয়ে ফেলুন। ঝগড়া যদি কাছের মানুষদের সঙ্গে হয় এবং ভুল যদি আপনার তরফে হয়ে থাকে— তাহলে ক্ষমা চাইতে দ্বিধা করবেন না।
অতি ভাবনার ফলাফল
অতিরিক্ত ভাবনাচিন্তা করলে আপনি নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন। বেশিরভাগ সময়ই আমাদের চিন্তা ভুল দিশায় ধাবিত হয়— যার ফলাফল নিয়ে ভাবনা আমাদের উৎকণ্ঠায় ফেলে দেয়। টেনশন বাড়ে। সেই সঙ্গে সমস্যা হয় ব্লাড প্রেশারের, সুগার-সহ এমন নানা রোগের উৎপত্তি হয় এই পরিস্থিতি থেকেই। তাই সিদ্ধান্ত নিন, ভাবনাচিন্তা করে সঠিক পদক্ষেপ ফেলবেন। ভুল কাজ করে বা বিরূপ পরিস্থিতির চাপে পড়ে অমূলক চিন্তাকে মাথায় ঠাঁই দেবেন না।
বর্তমানে বাঁচুন
অদেখা ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়াটা কোনও কাজের কথা নয়। বিধিলিপিতে যা রয়েছে, তা হবেই। সেটা খণ্ডানো মানুষের কাজ নয়। তাই সুদূর ভবিষ্যতে কী সমস্যা হবে তার ভাবনায়, বর্তমানের সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না। সংসারে সুখের মুহূর্তগুলো এনজয় করুন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাফিক বিনিয়োগ বা পরিবারের স্বার্থে মেডিকেল সিকিউরিটির বিষয়গুলো নিশ্চয়ই বিচক্ষণতার সঙ্গে বিচার করুন। কিন্তু তার অতিরিক্ত কোনও অযৌক্তিক ভাবনাকে মনে প্রশ্রয় দেবেন না।
মনের ঘোড়ায় লাগাম দিন
মনে রাখবেন আমাদের মনে নানারকম অভিলাষের জন্ম হয় কিন্তু এক জীবনে সব সাধপূরণ হয় না। তাই অসম্ভবের পিছনে ছুটে লাভ নেই। ততটাই ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিন, যতটা আপনি অর্জন করতে পারবেন, বাস্তবের জমিতে দাঁড়িয়ে।
হাসিখুশি জীবন কাটান
কী হল না, কী পেলাম না, এই ভেবে আনন্দটা মাটি করবেন না। ছোটো ছোটো প্রাপ্তিতে খুশি থাকুন। পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠুন। জীবনের সব ঘটনাই যে আনন্দঘন হবে, এমন কোনও কথা নেই। কিন্তু খারাপটা না ভেবে তার মধ্যে থেকে ভালোটুকু উপলব্ধি করার মধ্যেই প্রকৃত আনন্দ। সেটা বুঝতে শিখুন।