মহিলারা কর্মরতাই হোন বা হোমমেকার— অনেক সময় নিজের দিকে মনোযোগ দেওয়ার অবকাশ পান না। ত্বক অবহেলিত হলে, খুব সহজে তার ফল প্রকট হয়। তাই ত্বকের ড্যামেজ নিয়ন্ত্রণ করার এটাই সঠিক সময়। এই পদ্ধতিগুলি ট্রাই করুন, অবশ্যই আপনার ত্বক ঝলমলে হয়ে উঠবে।
ময়েশ্চারাইজিং: ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা ভীষণ জরুরি। ত্বক যাতে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখায়, তাই দিনে দু’বার অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগান।
এক্সফলিয়েশন: মাইল্ড স্ক্রাব-এর সাহায্যে সপ্তাহে অন্তত দু’বার স্কিন এক্সফলিয়েট করুন। এর ফলে ত্বকের উপরের লেয়ার থেকে মৃত কোশ নির্মূল হবে। ত্বকে জমে থাকা ময়লাও একই সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসবে। পরিচ্ছন্ন ত্বকে এরপর যে-স্কিন প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন, তার গুণাগুণ ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারবে।
ক্লিনজিং: ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে। তবে ক্লিনজার লাগানোর আগে, মুখে থাকা মেক-আপ, মাইসেলর ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া আবশ্যক।
হেলদি ফুড হ্যাবিট
- নুন ও চিনির পরিমাণ ন্যূনতম রাখুন আপনার ডায়েট-এ। এর ফলে রেডিয়ান্ট স্কিন যেমন পাবেন, তেমনি সারাদিন এনার্জেটিক থাকতে পারবেন।
- রিচ অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস-যুক্ত ফল, যেমন সিট্রাস ফ্রুটস, বেরি, অ্যাভোকাডো প্রভৃতি ডায়েট-এ রাখুন।
- ত্বক উজ্জ্বল রাখতে ভিটামিন সি ১০০০ মিলিগ্রাম, রোজ গ্রহণ করুন। গ্লুটেথিওন ট্যাবলেট যদি এর সঙ্গে সেবন করেন, খুব ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
- স্বাস্থ্যোজ্জ্বল আর হাইড্রেটেড স্কিন পেতে হলে, প্রচুর জল পান করুন। এছাড়া হ্যালুরনিক অ্যাসিড- যুক্ত সিরাম ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেটেড ও মসৃণ থাকে। বস্তুত হ্যালুরনিক অ্যাসিড একটি সুগার মলিকিউল, যা ত্বকে প্রাকৃতিক ভাবেই থাকে। এটি যদি আলাদা করে প্রয়োগ করেন তাহলে উপকৃত হবেন। এটি ময়েশ্চারকে বাইরে থেকে গ্রহণ করে ত্বকের কোলোজন-এর সঙ্গে সংযুক্ত করে। হ্যালুরনিক অ্যাসিড ত্বকের হাইড্রেশন ব্যালেন্স বজায় রাখতেও সহায়ক। যাদের ত্বক অতিরিক্ত ড্রাই, তারা ফেস অয়েল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
- প্যাক বা শিট মাস্ক, সপ্তাহে একবার করে অবশ্যই ত্বকে প্রয়োগ করুন। এর ফলে ত্বক রিল্যাক্সড হবে। সারা সপ্তাহের ধকলে ত্বকের উপর যে প্রভাব পড়ে, তা থেকে মুক্ত হবেন।
বিবাহের আগে নিজের এটুকু পরিচর্যা অবশ্যই করুন। এর ফলে আপনার ত্বক মেরামত তো হবেই, সেইসঙ্গে গ্লো-ও ফিরে পাবেন।
হোম কেয়ার টিপ্স
রোজ ওয়াটার: সাধারণ গোলাপ জল তুলোয় নিয়ে, শোয়ার আগে ১০-১৫ মিনিট ধরে ভালো ভাবে ত্বক মুছে নিন। এর ফলে ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরে আসবে। রোজ ওয়াটার স্প্রে, ইন্সট্যান্ট ক্লান্তি সারাতে অব্যর্থ।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা পাল্প সপ্তাহে ১-২ দিন লাগালে, ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় থাকবে।
কাঁচা আলু: কাঁচা আলু মিহি করে গ্রেট করে, সপ্তাহে ১ বার লাগান। ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন ত্বকে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। আন-ইভন স্কিন টোন মেরামত করতে এটা দারুণ সহায়তা করে।
হলুদ ও মধু: হলুদ আর মধুর মিশ্রণ ব্রণ-যুক্ত ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। হলুদের অ্যান্টিসেপটিক গুণ অ্যাকনে সারাতে সাহায্য করে। এক চামচ কাঁচা হলুদ পেস্ট, বেসন ও চালগুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। পনেরো দিনে একবার করে এই মিশ্রণের সাহায্যে স্ক্রাবিং করুন। ত্বকের তৈলাক্তভাব কমবে। ফলে ব্রণর সমস্যা থেকেও মুক্ত হবেন।