আমার ছেলের বয়স ৭ মাস। গত মাস থেকেই ওকে আমি দুধের সঙ্গে সলিড ফুড খাওয়াতে আরম্ভ করেছি। কিন্তু ও সলিড খাবার কিছুতেই খেতে চাইছে না, শুধু দুধ খাওয়ার বায়না করছে। আমি যদি ওর দুধের পরিমাণ বাড়িয়ে দিই, তাহলে কি ওর শরীরের চাহিদা মিটবে?
৭ মাস বয়সের শিশুদের দুধের সঙ্গে সলিড ফুড দেওয়াও একান্ত জরুরি। কারণ শুধু দুধে ওদের শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি হয় না আপনার শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়াবার চেষ্টা করুন কিন্তু খেয়াল রাখবেন একসাথে একগাদা খাবার খাওয়াবেন না। খুব ধীরে ধীরে কম পরিমাণে খাবার খাওয়ান যাতে শিশু খাবারের স্বাদ বুঝতে পারে। জোরজবরদস্তি বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়াতে গেলে শিশুর খাবারের প্রতি অনীহ তৈরি হবে। আদর করে কথা বলতে বলতে বাচ্চাকে খাওয়ান এবং পুষ্টিকর খাবার দিন। বাচ্চার শরীরের নিউট্রিয়েন্টস-এর প্রয়োজন মেটাতে সাপ্লিমেন্ট ফুড বা ফর্টিফায়েড খাবার দিন যাতে সম্পূর্ণ ভাবে শিশুর বিকাশ হয়।
কয়েকদিন আগেই আমার মেয়ের ৬ মাস বয়স হয়েছে। আমার এখন ওকে সলিড ফুড দেবার সময় হয়েছে কিন্তু বুঝতে পারছি না কী খাওয়াব?
এই সময়টা বাচ্চাদের পুষ্টির উপর বেশি করে খেয়াল রাখা উচিত। স্তনপানের সঙ্গে সঙ্গে এখন সলিড ফুড দেওয়াটাও খুব জরুরি। শুরুতে গলা ভাত, ডালের জল, কলা বা আপেল সেদ্ধ করে ম্যাশ করে দিতে পারেন এবং দইও খাওয়াতে পারেন। কিন্তু রুটি, শক্ত কোনও ফল এখন খাওয়াবেন না। ভিটামিন এবং মিনারেলস-যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়ান যাতে বাচ্চার মানসিক বিকাশ অপূর্ণ থেকে না যায়।
কয়েকদিন আগে আমার ছেলে ৯ মাসে পড়েছে। বাড়িতে সবার জন্য যে-খাবার বানানো হয় আমি সেটাই ছেলেকে খাওয়াই। এছাড়াও ওকে তিনবার দুধ খাওয়াই। এতে কি ও সম্পূর্ণ পুষ্টি পাচ্ছে?
আমরা সাধারণত বাড়িতে যে খাবার বানাই তাতে বেশিরভাগ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি থাকে ফলে শিশুর শারীরিক বিকাশ ঘটলেও মানসিক বিকাশের জন্য জরুরি ভিটামিন, মিনারেল-এর ঘাটতি থেকেই যায়। বাড়িতে সবুজ শাকসবজি যেমন তোফু, ব্রোকোলি ইত্যাদি রান্না কমই হয়। এছাড়াও ভুসি ছাড়া আটা আমরা রুটির জন্য ব্যবহার করি অথচ ভুসিতেই জিংক-এর মাত্রা বেশি থাকে। এর ফলে শিশুর খাবারে জিংক, আয়রন এবং ভিটামিনের অভাব ঘটে দুধে, বাচ্চার সবরকম পুষ্টিকর উপাদান থাকে না। সুতরাং শিশুকে ভিটামিন এবং মিনারেল- যুক্ত পর্যাপ্ত খাবার দিন। শিশুর পুষ্টির অভাব দূর করতে সাপ্লিমেন্ট ফুড বা ফর্টিফায়েড ফুড অথবা রেডিমেড ফুড-ও দেওয়া যেতে পারে।