অনেকের ত্বক খুব তৈলাক্ত। আর Oily skin মানেই অস্বস্তি এবং মুখের মেক-আপ টিকিয়ে রাখার সমস্যা।
তেল চিটচিটে ত্বকে ধুলো-বালি জমে Pimples, ফুসকুড়ির সমস্যা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই তৈলাক্ত ত্বকের থেকে মুক্তি পেতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। তবুও অনেক সময় মনের মতো ফল মেলে না। বিশেষ করে মুখের অংশের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে, ব্রণ-র সমস্যায় জপ্জরিত হতে হয়। গোটা সাজটাই মাটি করে দেয় ব্রণ বা ফুসকুড়ি। আর এই অস্বস্তির ফলে মানসিক চাপও তৈরি হতে পারে। অতএব, ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া আবশ্যক।
Oily skin problems থেকে রেহাই পেতে অনেকেই দিনে তিন-চারবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোওয়া, ফেস প্যাক-মাস্কের ব্যবহার বা স্ক্রাব করে থাকেন। কিন্তু তাতেও সমস্যা থেকেই যায়! তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে সহজেই তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে!
Homemade Toner-এ সমাধান
- টম্যাটো এবং মধুর মিশ্রণে, খুব ভালো স্কিন টোনার বানানো যায়। পাকা টম্যাটোর রস বের করে, তার সঙ্গে মধু মেশাতে হবে। এক্ষেত্রে, দুচামচ টম্যাটোর রসের সঙ্গে এক চা-চামচ মধু ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে মাখুন। এরপর, কুড়ি মিনিট বাদে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন বার এই পদ্ধতির প্রযোগে, ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর হবেই।
- দই, শসা এবং ফিটকিরি দিয়ে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করা যায় সহজে। এ ক্ষেত্রে শসা কুরিয়ে বা পেস্ট বানিয়ে দইয়ে সঙ্গে মেশান সমানুপাতিক হারে। ওতে সামান্য ফিটকিরির জল দিয়ে মুখে মাখুন এবং কুড়ি মিনিট বাদে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন এই পদ্ধতির প্রযোগে সুফল পাবেন।
- ত্বক সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেই মধু অত্যন্ত কার্যকরী। মধু কেবলমাত্র শুষ্ক ত্বকের জন্য নয়, তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রেও দুর্দান্ত কার্যকর। মধু ত্বককে হাইড্রেট করে এবং প্রাকৃতিকভাবে তেলের নিঃসরণ কমায়। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি ব্রণ-পিম্পলের সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পেতে, ২-৩ চা চামচ মধু নিয়ে আঙুলের সাহায্যে গোটা মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ২০-৩০ মিনিট রেখে, তারপর জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। মধুর ব্যবহারের আগে হাত ভালভাবে পরিষ্কার করে নেবেন। প্রতিদিন একবার করে এটা করতে পারেন।