লকডাউনের সময় অসহায় মানুষের কাছে 'রবিন হুড’ হয়ে উঠেছিলেন অভিনেতা সোনু সুদ। যাঁর যেখানে যখন অর্থ বা সাহায্যের দরকার পড়েছে, সোনু সুদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই মিলেছে সহায়তা৷ অসহায়দের পাশে থেকে কখনও তিনি ১০ কোটি টাকা ঋণের কারণে তাঁর জুহুর আটটি সম্পত্তি বন্ধক রেখেছেন। কখনও আবার টুইটারে খবর পাওয়া মাত্র, সারিয়ে দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার লুকসান চা বাগান এলাকার ভুট্টাবাড়ির হতদরিদ্র পবনের ভাঙা বাড়ি।
গত কয়েক মাসে মহামারির সময়ে কৃষকদের সাহায্য করা, ছোটো ব্যবসায়ীদের আর্থিক অনুদান দেওয়া, বেকার যুবক-যুবতিদের কাজের খোঁজ দেওয়া, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা-- এমন নানা সেবামূলক কাজ করে রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন সোনু। অথচ মজার বিষয়টি হল, সিনেমায় তাঁকে দেওয়া হয় নেগেটিভ রোল,যার সঙ্গে বাস্তবের সোনুর কোনওই মিল নেই৷ তাই আর ভিলেন নয়, পর্দায় এবার থেকে পজিটিভ, অথার ব্যাকড রোল করতে চান সোনু৷
এর আগে বড়ো পর্দায়, সোনুকে পেশিবহুল চেহারা আর মুখের ধারালো চোয়ালে কেবল আক্রোশ ফুটিয়ে তুলতেই দেখা গিয়েছিল৷ সোনু পরিচিতি পেয়েছিলেন দাবাং-সহ নানা হিন্দি ছবির প্রসিদ্ধ খলনায়ক আর ভিলেনের রোল-এ৷এখন আর এই ধরনের চরিত্র করতে চান না সোনু৷ তাই একদিকে তিনি যেমন পজিটিভ রোল করতে চাইছেন, তেমনই পরিচালক ও প্রযোজকরাও তাঁকে অন্য রকম রোল দেওয়া নিয়ে অন্য রকম ভাবে চিন্তাভাবনা করা শুরু করে দিয়েছেন।
বর্তমানে ফ্লোরে রয়েছে সোনু সুদের নতুন তেলগু ছবি আল্লু আধুরস। সন্তোষ শ্রীনিবাস পরিচালিত এই ছবিতে স্বল্প দৈর্ঘের একটি চরিত্র করার কথা ছিল সোনুর৷কিন্তু শোনা যাচ্ছে সোনুর ইচ্ছেকে আমল দিয়ে অভিনেতার চরিত্রটিতে অনেক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন নির্দেশক।
ছবির অফিসিয়াল লিড সাঁই শ্রীনিবাস বাল্লাকোন্ডা। কিন্তু তা সত্বেও সোনুর রোলটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে অনেকখানি জায়গা বাড়িয়ে দিতে চাইছেন নির্মাতারা। সোনুর রোলটায় প্রচুর পজিটিভ দিক জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ছবিটির প্রেক্ষিতেই পজিটিভ রোলে কাজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সোনু। পরিবর্তিত অংশে শুধু ডায়ালগই বাড়েনি, সোনুর উপর দু-দুটি গান পিকচারাইজ করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। চিত্রনাট্যে পরিবর্তন করা হচ্ছে, কাহিনিতে নতুন টান টান উত্তেজনার মুহূর্ত নিয়ে আসা হচ্ছে, অ্যাকশন সিকোয়েন্স বাড়ানো হচ্ছে এবং এই সবই করা হচ্ছে সোনুকে মাথায় রেখে৷