মাথা থাকলেই কি মাথাব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক? সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক লোকই মাঝেমধ্যে মাথাব্যথায় ভোগেন। এর মধ্যে টেনশন-টাইপ মাথাব্যথাও যেমন থাকে, তেমনই, মাইগ্রেন, চোখের সমস্যা, গ্যাস প্রভৃতির সমস্যার কারণও থাকে। কিন্তু শুধু এসব কারণেই মাথাব্যথা হয় না, অনেক সময় এই মাথাব্যথা বড়ো কোনও রোগের উপসর্গ হতে পারে। তাই, অসুখ বেড়ে যাওয়ার আগে সতর্কতা জরুরি। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ডা. কৗশিক সেন।
মাথাব্যথার প্রাথমিক কারণগুলি কী কী?
মাথার যন্ত্রণা বা মাথাব্যথা সব মরশুমের সঙ্গী। বর্তমানে মোট জনসংখ্যার তিনের দুই ভাগ এই সমস্যায় জর্জরিত। সাধারণ মাথাব্যথা কখনও দৈনিক সমস্যায় পরিণত হতে পারে। তবে মাথার যন্ত্রণা উপেক্ষা করা কখনওই বুদ্ধিমানের নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, যারা অল্পতেই টেনশন করেন বা মানসিক দুশ্চিন্তা হয়, তাদের হালকা মাথাব্যথা করে। সাধারণত দেখা যায় যে, এই ব্যথাগুলো খুব জোরালো না হলেও তা আধ ঘণ্টার বেশি চলতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এগুলো প্রায় কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। বলাই বাহুল্য, এই ব্যথার উৎপত্তি টেনশন থেকে হয়। তাই বলা যেতে পারে, মাথাব্যথা কোনও রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র।
টেনশন থেকে মাথাব্যথা সাধারণত কত ধরনের হতে পারে?
টেনশন থেকে হওয়া মাথাব্যথা দুই ধরনের হয়। একদিকে রয়েছে এপিসডিক ধাঁচের টেনশন থেকে হওয়া মাথাব্যথা যা মাসে এক বা একাধিক বার হয়ে থাকে। ক্রনিক টেনশন থেকে হওয়া মাথাব্যথা মাসে ১৫ বার শুধু নয়, তিন চারমাস ধরে হতে পারে। এছাড়া মাইগ্রেন বা কিছু ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমারের ইঙ্গিতও হতে পারে মাথাব্যথা।
সাধারণ মাথাব্যথার থেকে টেনশনের মাথাব্যথা কী ভাবে আলাদা করা যাবে?
এই ক্ষেত্রে অনেক সময়েই সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা খুব কঠিন। তবে কতক্ষণ ধরে বা কতদিন ধরে ব্যথা হচ্ছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।