ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের দুঃস্থ শিশুদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে কলকাতা-য় ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন সারা পৃথিবীর অনেক চিকিৎসক।  স্কোলিওসিস এবং অন্যান্য জটিল মেরুদণ্ডজনিত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, যারা অর্থাভাবে চিকিৎসা পরিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন, তাদের সুচিকিৎসা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে JIMS হাসপাতাল।

‘অপারেশন স্ট্রেইট স্পাইন’ (OSS) এমন এক পথপ্রদর্শক চিকিৎসা অভিযান, যা  মেরুদণ্ড বিকৃতি সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। দক্ষিণ কলকাতা-য় অবস্থিত ‘দ্য টলিগঞ্জ ক্লাব’-এ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে, পয়লা মার্চ এই বার্তা দেওয়া হল ‘জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতাল’-এর (JIMSH) পক্ষ থেকে। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেআইএমএস-এর চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কুমার গুপ্তা, প্রফেসর ডা. উজ্জ্বল দেবনাথ প্রমুখ। প্রসঙ্গত উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আগামী ৩ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ চিকিৎসা অভিযান।

যে সব শিশুরা স্কোলিওসিস এবং অন্যান্য জটিল মেরুদণ্ডজনিত সমস্যায় ভুগছে, অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে যাদের সুস্থ জীবনের স্বপ্ন দেখা ছিল দুঃসাধ্য, তাদের সুস্থ করে তোলার উদ্দেশ্যেই এই চিকিৎসা অভিযানের আয়োজন করেছে বলে জানানো হয়েছে ‘জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতাল’-এর (JIMSH) পক্ষ থেকে।

 Innovative initiative 'Operation Straight Spine'
Doctors

বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ১১ জন শিশু, যারা গুরুতর স্কোলিওসিস ও মেরুদণ্ড বিকৃতিতে ভুগছে, তারা জীবন বদলে দেওয়া অস্ত্রোপচারের সুযোগ পাবে এবং নতুন করে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা অর্জন করবে JIMS হাসপাতাল আয়োজিত এই চিকিৎসা উদ্যোগে।

উল্লেখ্য, স্কোলিওসিস সাধারণত বয়ঃসন্ধির আগে শরীরের বৃদ্ধির সময়কালীন ঘটে, যেখানে মেরুদণ্ডের ৩৩টি হাড় বেঁকে যায় এবং তা শুধুমাত্র দীর্ঘ (৬-১০ ঘণ্টারও বেশি) জটিল ও নিখুঁত শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব।

যাঁরা স্বেচ্ছায় এবং নিঃস্বার্থভাবে এই মহৎ কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন, সেইসব স্পাইন সার্জন এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন JIMSH-এর চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কুমার গুপ্তা। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই আয়োজন শুধু চিকিৎসা দক্ষতার পরিচায়ক নয়, এটি সেই সকল অবহেলিত শিশুদের স্বর তুলে ধরার এক প্রয়াস, যারা মেরুদণ্ডজনিত সমস্যার কারণে বছরের পর বছর দুর্ভোগের শিকার। এই ঐতিহাসিক উদ্যোগের সাক্ষী হয়ে আপনিও এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে পারেন এবং সকলের জন্য বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করার বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে পারেন।’

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...