জাতপাত ভেদাভেদ করতে করতে জীবনের অমূল্য সময় নষ্ট করেন অনেকে। ঠিক তেমনই বিষয়সম্পত্তি নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ করতে করতে বাঁচার সঠিক আনন্দ থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন কিছু মানুষ।
কোনও স্ত্রী যেমন স্বামীর ভাইবোনদের বঞ্চিত করে সব সম্পত্তি ভোগ করতে চান, ঠিক তেমনই ওই মহিলার মায়ের বাড়িতেও তাকে বঞ্চিত করার মতলব আঁটছেন তার ভাইয়ের বউ। এতে আশ্চর্যের তেমন কিছুই নেই। কারণ আপনি যেমন ভাবনা পোষণ করবেন মনে, আপনার সঙ্গেও ঠিক তেমনটাই ঘটবে এটাই স্বাভাবিক।
আজ ভারতবর্ষের যেসব বিবাহিত মেয়েরা তার পিতার সম্পত্তি পাওয়ার জন্য আইনি লড়াই করছেন, উলটো দিকে তার শ্বশুরবাড়িতে তারই ননদও ঠিক একই ভাবে তার পিতার সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে চাইছেন। আর এই চাওয়া-পাওয়ার লড়াইটা যখন চরম মাত্রা নিচ্ছে, তখনই ঘটছে অপরাধমূলক ঘটনা। অথচ চরমপন্থার পথ ছেড়ে সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমেও ন্যায্য অধিকার আদায় করা যায় ভাইবোনেদের মধ্যে সুসম্পর্ক রেখে।
ভেবে দেখুন তো, আবার যদি সেই আদিম সমাজ ফিরে আসে তাহলে কী হবে! এও ভেবে দেখুন, আপনি এগোতে চান নাকি পিছিয়ে যেতে চান?
মনে রাখতে হবে, মন্দিরের নামে যারা মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছেন, তাদের পাতা ফাঁদে পা দিলে চলবে না। কারণ, শুধু মন্দিরে গেলেই আপনার পরিবার, সমাজ কিংবা দেশের সমস্যা মিটবে না। কিংবা শুধু জাতপাত ভেদাভেদ করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
ভারত-কানাডার মধ্যে যদি সম্পর্ক খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে সমস্যার শিকড় খুঁজে বের করে সমাধান করতে হবে, চেঁচিয়ে লাভ হবে না। কারণ ঠান্ডা মাথায় সবকিছুর সমাধান করার চেষ্টা না করলে শত্রুপক্ষ সুবিধে নিয়ে নেবে।
এখন এমন একটা সময় এসেছে, যখন নিজেদের ভালোমন্দ নিজেদেরই বুঝে নিতে হবে। সবক্ষেত্রেই এখন সতর্কতা আবশ্যক। নয়তো ধান্দাবাজরা দীপাবলির বাজি দিয়ে কখন আপনার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে তা বুঝতেও পারবেন না।