কিডনি যেহেতু আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্গান,তাই কিডনিকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে হবে। কারণ,কিডনি বিকল হয়ে পড়লে অসুস্থতা এমন পর্যায়ে যাবে যে,মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
নানা কারণে কিডনি বিকল হতে পারে। কম জলপান, কিডনিতে বড়ো আঘাত,কোনও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, সাপের কামড় কিংবা শরীরে অন্য কোনও বিষক্রিয়ার ফলে হতে পারে কিডনি বিকল। তবে, সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা,প্রয়োজনে কিডনি প্রতিস্থাপন ইত্যাদির মাধ্যমে কিডনির সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু,কিডনিকে বাঁচাতে হলে আগে জানতে হবে এর প্রধান উপসর্গগুলি কী কী। এ বিষয়ে রইল বিস্তারিত বিবরণ…।।
- কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে রক্ত দূষিত হতে থাকে। আর রক্ত দূষিত হলে, রক্তে নতুন করে রক্তকণিকা তৈরি হতে পারে না। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। আর রক্তশূন্যতার কারণে শারীরিক দুর্বলতার উপসর্গ তৈরি হয়
- শরীরের বর্জ্য পদার্থের একটি বড়ো অংশ হল ইউরিয়া। কিডনি বিকল হলে এই ইউরিয়া শরীরের বাইরে বেরোতে পারে না, রক্তে মিশে যায়। আর এই দূষিত রক্ত মস্তিষ্কে পেঁছোনোর পর, মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে এবং চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন
- কিডনির সমস্যা দেখা দিলে রক্ত দূষিত হয় এবং সেই রক্ত ফুসফুসে পেঁছোয়। ফুসফুস তখন ওই বর্জ্য বের করার জন্য কার্বনডাইঅক্সাইড ব্যবহার করতে শুরু করে। যার ফলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢুকতে পারে না ফুসফুসে এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়
- কিডনির অক্ষমতার কারণে রেনাল টিবিউলস-এর ক্ষতি হয় এবং পলিইউরিয়ার সৃষ্টি করে। এর ফলে মূত্রের পরিমাণ কমতে থাকে এবং মূত্রের রং গাঢ় হলুদ বা কমলা রঙের হতে পারে
- যখন কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস পাবে, তখন শরীরের বর্জ্য পদার্থ রক্তে মিশতে শুরু করবে। আর রক্ত দূষিত হলে চুলকানির উপসর্গ দেখা দেবে
- কিডনি বিকল হলে শরীরের বর্জ্য হিসাবে অ্যামোনিয়া ফিলটার করতে পারে না। আর রক্তে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে মুখে অরুচি বাড়বে। সেইসঙ্গে, শরীরের ওজনও হ্রাস পাবে। কারণ মুখে অরুচির কারণে শরীরকে ঠিকমতো পুষ্টির জোগান দেওয়া সম্ভব হবে না
- যখন কিডনির সমস্যা গুরুতর হয়, তখন কিডনি এবং লিভারে এক ধরনের ফ্লুইড ভর্তি সিস্ট তৈরি হয়, যা টক্সিন বহন করে। আর ওই টক্সিন শিরা-ধমনিতে গেলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে পা, পিঠ এবং কোমরে বেশি ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...
গৃহশোভা থেকে এবং