বিয়ের পর আমার এইচআইভি ধরা পড়লে জানতে পারি স্বামী এবং তার পরিবারের লোকজন স্বামীর এই অসুখ গোপন রেখেই আমার সঙ্গে তারা বিয়ে দিয়েছেন। এখন স্বামীর মৃত্যুর পর আমার বাপের বাড়ির লোকেরা আমাকে আবার বিয়ের জন্য জোর করছেন। এই পরিস্থিতিতে আমি বিয়ে করতে ইচ্ছুক একেবারেই নই।
আমি ২১ বছর বয়সি যুবতি। আমার মা-বাবা সম্বন্ধ করে ১৭ বছর বয়সেই আমার বিয়ে দিয়ে দেন। ৪ বছর পর হঠাৎই আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার আমাকে ।অনেকগুলো টেস্ট করাতে দেন। পরীক্ষায় আমার, এইচআইভি পজিটিভ নির্ধারণ হয়। অসুখ ধরা পড়ার পর আমি স্বামীর কাছ থেকে জানতে পারি যে, বিয়ের আগে থেকেই ও এইচআইভি পজিটিভ ছিল কিন্তু এই তথ্য ও এবং ওর পরিবারের লোকজন সম্পূর্ণ গোপন করেছে। এখন আমার স্বামী পুরোপুরি এড্স দ্বারা সংক্রামিত। এতকিছু জানার পর আমি আমার মেয়েকেও পরীক্ষা করাই তবে জানা গেছে ও সম্পূর্ণ সুস্থ। গতবছর আমার স্বামী মারা যান। আমার পরিবারের সকলে এখন আমাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্যে জোর দিচ্ছেন। আমি বাড়ির কাউকে আমার অসুখের কথা জানাইনি। ওরা জানতে পারলে প্রচণ্ড আঘাত পাবেন। কিন্তু এই অবস্থায় আমার কী বিয়ে করা উচিত?
আপনার সঙ্গে যা ঘটেছে তা সত্যিই দুঃখজনক কিন্তু আপনার ভাগ্য ভালো যে আপনার মেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ। আপনি চিকিৎসাধীন কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানাননি। এখন এমন ওষুধ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে যা বহুদিন পর্যন্ত এই অসুখকে কনট্রোল করে রাখে। সরকারি ক্লিনিকে এই ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। সবথেকে ভালো হয় আপনি এইরকম একটি ক্লিনিকে আপনার নাম রেজিস্ট্রি করান যাতে আপনার প্রপার ট্রিটমেন্ট হতে পারে।
আপনি যদি ঠিকমতো সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন, তাহলে আপনি স্বাভাবিক বিবাহিত জীবনযাপন করতে পারবেন। কিন্তু ভবিষ্যতে যাকে বিয়ে করবেন, তাকে আপনার অসুখের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে রাখবেন কারণ বিয়ের পর অনেক ব্যাপারেই আপনার স্বামীর সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে। সম্বন্ধ করে বিয়ে করতে হলে, আপনার পরিবার এবং ছেলের পরিবারের কাছে আপনাকে নিজের অসুস্থতা সম্পর্কে জানাতে হবে। অথচ এতদিন যখন এই সত্যিটা বাড়ির সকলের কাছে গোপন করে এসেছেন তখন আমার মনে হয়, আপনি কারও সঙ্গেই এই তথ্য শেয়ার করতে আগ্রহী নন।
সুতরাং বিয়ে করতে অস্বীকার করুন। চাকরি খুঁজে নিন এবং নিজের ও মেয়ের ভালো ভাবে দেখাশোনা করুন। কে বলতে পারে, ভবিষ্যতে হয়তো কেউ আপনাকে ভালোবেসে, আপনার অসুখের কথা জেনেও আপনাকে বিয়ে করে সুখী করবে। জীবনের প্রতি আস্থা রাখুন এবং ভরপুর জীবনের আনন্দ গ্রহণ করুন। তবে প্রিকশান (কন্ডোম) ছাড়া সেক্স করবেন না।