ছোটো শহরে ধর্ষণের মতো ঘটনা , বিশেষ করে যদি পরিচিত ব্যক্তি হয়ে থাকে তাহলে সহজে কেউ ঘটনাটির কথা জানাতে দ্বিধা করে থাকেন অথবা পরিবারের মধ্যেই চেপে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়ে থাকে এতে তারা প্রশ্রয় পেয়ে যায়, সুতরাং এই ঘটনা পুলিশের কাছে খুলে বলা বাঞ্ছনীয়।
আমার বয়স ২৩ বছর। ছোটো শহরে থাকি। সম্প্রতি আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে এক পরিচিত ব্যক্তি ধর্ষণ করে। বন্ধুটি ওর পরিবারে পুরো ঘটনা জানায়। প্রতিবেশীরাও ওয়াকিবহাল। বন্ধু চায় ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি। যদিও ওর পরিবার ও প্রতিবেশীদের মতে নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া উচিত। দুজনের বিয়ে দেওয়াই হবে সঠিক পদক্ষেপ। কিন্তু আমার বন্ধু ধর্ষককে বিয়ে করতে রাজি নয়। আবার পরিবারের বাধায় ঘৃণ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগও করতে পারছে না। ক্রমে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে গেছে। আমি চাই ওকে সাহায্য করতে। কী করব যদি বলে দেন।
প্রথম কাজ হবে থানায় গিয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করা এবং পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেওয়া। বন্ধুকে নিয়ে অঞ্চলের বয়োজ্যেষ্ঠ কিংবা প্রভাবশালী কারওর কাছে গিয়ে সব কিছু জানান। আপনাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে ধর্ষকের শাস্তির প্রতিবাদে সরব হোন। সুবিচার না পেলে সংবাদমাধ্যমকে জানান। বন্ধুটি পরিবারকে সরাসরি জানিয়ে দিক, ধর্ষককে তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। ধর্ষক বা তার পরিবার যাতে কোনওরকম ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করাটাও প্রয়োজন। প্রয়োজনে অন্য শহরে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে পারেন। আপনার বন্ধু যদি শিক্ষিত হয়, তাহলে শহরে গিয়ে নিজের জন্য কাজ খুঁজে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারেন। স্বাবলম্বী হলে ধর্ষকের শাস্তির জন্য লড়াইও করতে পারবে। তবে ধর্ষণের পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেডিকেল টেস্ট না করাতে পারলে, ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করা খুব কঠিন হয়ে যায়।