আমাদের হাতের কাছেই বেশ কিছু ভেষজ গাছ-গাছড়া রয়েছে, যেগুলির অপরিসীম প্রাকৃতিক গুণ৷ অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও সমগ্রহ করা যায় এই সব গাছ যা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী৷।তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।

থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা। যে-কোনও জলাধারের পাশে হামেশাই দেখা মেলে এই গাছের। কথায় বলে, পেট ভালো তো সব ভালো৷ পেটের রোগে ভোগা বাঙালির কাছে এই গাছের কদর, পেটের রোগ নিরাময়ের জন্যই। চিকিত্‍সকরাই বলেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে যে নিয়মিত খেতে পারলে, পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য  ভালো রাখতে  ছোটো থেকেই বাচ্চাকে এই পাতার রস খাওয়ান৷ এর ফলে তার বুদ্ধিরও বিকাশ হবে।

কেউ কেউ বলেন যৌবন ধরে রাখতেও নাকি দারুণ ফলপ্রদ এই থানকুনি পাতা।আসলে পেটের রোগ মানুষের বয়সটা এক ঝটকায় বাড়িয়ে দেয়৷ এই ধরণের অসুখ  নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে-কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।থানকুনি পাতা মস্তিষ্কের কোশ গঠনে সাহায্য করে ফলে থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের নানা সমস্যায় অনেকেই ভোগেন৷ ত্বক শুষ্ক হয়ে অকালে বয়স্ক লাগে দেখতে৷মৃতকোশের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে।ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোশগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।ত্বক যেন পুনরায় যৌবনপ্রাপ্ত হয়৷ থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকী নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। ফলে সৌন্দর্য ধরে রাখতে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য৷ এছাড়া  প্রতিদিন এক গ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য ফিরে আসে।

পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে, থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করা জলে কুলকুচি করলে, উপকার পাওয়া যায়৷

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...