আমার বয়স ৩৬। যদিও আমি মনে করি আমি যথেষ্ট দায়িত্বশীল, কর্মঠ একজন পুরুষ, আমার স্ত্রীর ধারণা ভিন্ন। সে মনে করে সাংসারিক বিষয়ে আমি অসফল এবং জীবনের নানা ক্ষেত্রে ব্যর্থ। আমার মা-বাবাও দায়িত্বের কোনও কাজ আমায় দেন না, বরং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আমার ভাইয়ের সঙ্গেই আলোচনা করেন।

আমার স্ত্রী এখন প্রকাশ্যেই বলে বেড়ায়, আমি বেশ বোরিং এবং সে আমার বদলে তার ভাই-বোন এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করে, যদিও এদের প্রত্যেকের চেয়েই বেশি আয় করি আমি। আমার বস আমাকে জরুরি মিটিংগুলি থেকে বাদ দেন, আমার সহকর্মীরা যদিও সেগুলিতে উপস্থিত থাকার ডাক পান। অথচ আমি একটি ভালো পদে কর্মরত।

আমি খুব ডিপ্রেশনে ভুগছি। মাঝেমধ্যে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করে। আমি ঠিক কীভাবে নিজেকে সব কিছুর উপযুক্ত করে তুলব, বুঝে উঠতে পারছি না।

প্রথমেই বলি আপনি ভেঙে পড়বেন না। আপনার মধ্যে হয়তো অনেক গুণ রয়েছে কিন্তু আপনার সমস্যা হল আপনি ঠিকমতো কমিউনিকেট করতে পারেন না মানুষের সঙ্গে। হয়তো সেই কারণেই লোকে আপনাকে ভুল বোঝে এবং আপনার সঙ্গ উপভোগ করে না। আপনার ক্ষমতা সম্পর্কেও তারা সন্দিহান।

কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর জন্য আপনাকে সক্রিয় হতে হবে। সুন্দর করে কথা বলতে পারা, যে-কোনও বিষয়কে অন্যের কাছে কনভিন্সিং করে তোলা এই যুগের অন্যতম ক্রাইটেরিয়া। এই কমিউনিকেশন-এর প্রক্রিয়া নিজের বাড়ি থেকেই শুরু করুন। ছোটো ছোটো দায়িত্ব নিজেই নিন এবং কাজটা সফল ভাবে করে তুলতে আপনার প্রিয়জনদেরকেও এতে সামিল করুন। সেটা তাদের পছন্দের মুভির টিকিট কাটা দিয়েও হতে পারে। এভাবেই স্ত্রী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার বাড়িয়ে তুলুন। মা-বাবার নানা দায়িত্ব নিজের উদ্যোগে কাঁধে তুলে নিন। মেডিকেল, পেনশন বা ব্যাংকের কাজে তাদের সাহায্য করুন। অফিসেও সহকর্মী এবং বসের সঙ্গে যে দুরত্ব তৈরি হয়ে আছে, সেটা ওভারকাম করার চেষ্টা করুন, এর ফলে আপনার জড়তা ভাবও খানিকটা কেটে যাবে। আপনার নিজেকে গুটিয়ে রাখার মনোভাব হয়তো অন্যের মনে এমন একটা ধারণা তৈরি করেছে যে আপনি নিজেকে তাদের চেয়ে সুপিরিয়র প্রমাণ করতে বেশি উৎসাহী। এই মনোভাব আপনাকেই দূরে সরাতে হবে। সবার সঙ্গে মিশে তাদের একজন হয়ে উঠুন। দেখবেন আপনার সমস্যা এবং মনের ভার অনেকটা লাঘব হয়ে গেছে।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...