প্রসিদ্ধ ফিলম অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ এব্যাপারে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) তথা বন্ড-এ বিনিয়োগেই বিশ্বাসী। যদিও ওনার কথায়, তিনি তাঁর আয়ের বেশিরভাগ টাকাই নিজের কোম্পানির কাজে লাগান। যেটা মূলত টিভি কার্যক্রমের জন্য সফট্ওয়্যার বানিয়ে থাকে। গীতিকার জাভেদ আখতারের মতে, রিয়াল এস্টেট-এ ইনভেস্ট করাই সবথেকে ভালো উপায়। জাভেদ আখতারের মতো ঐশ্বর্য রাইও প্রপার্টি-তে বিনিয়োগই শ্রেষ্ঠ মাধ্যম বলে মনে করেন।

প্রয়াত দেব আনন্দ মুম্বই তথা ব্যাঙ্গালুরুতে অবস্থিত তাঁর বাড়ি এবং স্টুডিয়োকেই নিজের বিনিয়োগ বলে মনে করতেন। আবার ফিলম অভিনেতা অনুপম খের উদ্বৃত্ত অর্থ শেয়ারে খাটাতেই বেশি পছন্দ করেন।

অন্যদিকে ওম পুরি মনে করতেন, সমস্ত টাকা ব্যাংকে রাখাটাই শ্রেয়। বিশ্বখ্যাত দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দ বিনিয়োগ হিসাবে জমিবাড়িকেই বেছে নিয়েছেন। হিন্দি ছবি ‘মোহরা’ খ্যাত অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন তার উপার্জিত অর্থ, শেয়ার এবং বন্ড-এ খাটানোকেই সঠিক রাস্তা বলে মনে করেন। বিখ্যাত চিত্রকর পরিতোষ সেন কখনওই টাকাপয়সা জমানোর পক্ষপাতী ছিলেন না। টাকাপয়সা কোনও কোম্পানি অথবা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করার কথা ভাবনার মধ্যেই আনেননি কখনও। অতিরিক্ত অর্থ মাঝেমধ্যে কেবলমাত্র ব্যাংকের খাতায় জমা করতেন। কিন্তু নিজের এক বন্ধুকে টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে দেখার পর, নিজেও জমানোর কথা ভাবেন এবং অন্যদেরও টাকা জমানোর পরামর্শ দেন।

সংগীতজ্ঞ ভীমসেন যোশির অর্থ থেকে শুরু করে সমস্ত প্রপার্টির হিসাব দেখাশোনা করতেন ওনার সিএ। অপরদিকে আবার প্রসিদ্ধ নর্তক রাজা রেড্ডি তার সঞ্চিত অর্থের বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ। কারণ তার দুই স্ত্রী রাধা আর কৌশল্যাই সে সমস্ত দেখাশোনা করে থাকেন।

কোথায় বিনিয়োগ করবেন

এই সমস্ত তাবড় তাবড় প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের বিনিয়োগের কথা তো জানলেন। এবার আপনি নিজের কথা ভাবুন। আপনার টাকা আপনি কোথায় বিনিয়োগ করবেন? আপনার টাকা কি শেয়ারে লাগিয়ে বিপদের ঝুঁকি সামলাবেন, নাকি এমন কোনও উপায় অবলম্বন করবেন, যেখানে কোনও রিস্ক নেই বললেই চলে?

আমাদের পরামর্শ, আপনার বয়স যদি ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে হয় এবং মাসিক আমদানি আপনার মাসিক খরচের তুলনায় ১০০ শতাংশ বেশি হয়, তাহলে মোট জমা অর্থের ৭৫ শতাংশ শেয়ারে লাগাতে পারেন।

যদি আপনার বয়স ৩০ থেকে ৪০-এর মধ্যে হয় এবং আপনার একটি বছর দুয়েকের সন্তানও থাকে তথা আপনার বার্ষিক আয়ের তুলনায় বার্ষিক খরচ অনেক কম হয়– সেক্ষেত্রে আপনার মোট জমারাশির ২৫ শতাংশ শেয়ারে, ২৫ শতাংশ ওপেন এন্ড গ্রোথ মিউচুয়াল ফান্ডে, ১৫ শতাংশ ব্যাংকে, ১৫ শতাংশ রাষ্ট্রীয় জমা যোজনায় তথা জীবনবিমায় বিনিয়োগ করা উচিত।

আপনার বয়স ৪০-এর বেশি এবং ৫০-এর কম হলে, ৭৫ শতাংশ সুরক্ষিত রাস্তায় বিনিয়োগ করাই উচিত। যেমন – পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, রাষ্ট্রীয় জমা পত্র তথা মিউচুয়াল ফান্ডে জমানোই সঠিক পথ। এছাড়া অতিরিক্ত অর্থ ব্যাংকেই রাখা উচিত।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...