ত্বকচর্চার ক্ষেত্রে যদি বাজারচলতি প্রসাধনীর বদলে, Natural Products বা প্রাকৃতিক উপাদানের উপর  নির্ভর করেন, তাহলে অচিরেই আপনার ত্বক ঝলমলিয়ে উঠবে। তাই জেনে নিন কী লাগাবেন ত্বকে, সহজেই যাতে নানা ত্বক সমস্যা থেকে মুক্তি পান।

গোলাপ

সৌন্দর্যচর্চার ক্ষেত্রে গোলাপের গুণ বহু শতাব্দী ধরেই পরিচিত। নানা দেশে গোলাপ ব্যবহৃত হয় রূপচর্চায় । গোলাপের পাপড়ির পাউডার ত্বক নিমেষে তরতাজা, শীতল ও উজ্জ্বল করে তুলতে পারে। গোলাপের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

অ্যালোভেরা

এটি একটি অল-পারপাস সুদিং জেল৷ সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালোভেরা বিশেষ কার্যকর। শুধু সৌন্দর্যচর্চার উপাদান হিসাবেই নয়, ছোটোখাটো কাটা বা পোড়াতেও ভালো কাজ করে অ্যালোভেরা৷ এটি ত্বকে সহজেই শুষে যায়৷ পুরু করে লাগালে এটি ময়শ্চারাইজার বা ফেসপ্যাক হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে৷ সংবেদনশীলতার কারণে ত্বক লাল হয়ে গেলে চট করে একটু অ্যালোভেরা লাগিয়ে নিন। খুব ভালো কাজ দেয় এই অ্যালোভেরা। জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বকে শীতল অনুভূতি এনে দেয়।

নিম

সকলেই জানেন, নিম একটি ওষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ৷ নিমের ত্বক বিশুদ্ধকারী ও ছত্রাক সংক্রমণরোধী উপাদান ব্রণ কমাতে সাহায্য করে৷ ত্বকে কোনও সমস্যা দেখা দিলে বা ব্রণ হলে ওই জায়গায় নিম তেল বা নিমের পাউডার লাগাতে পারেন৷অবশ্যই উপকার পাবেন।

চন্দন

চন্দনের আছে হাজারো গুণাগুণ।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও চন্দন বহুল ব্যবহৃত হয়।  রূপচর্চার জন্য চন্দনের খ্যাতি যুগ যুগ ধরে। প্রাচীন কালে রূপচর্চার অন্যতম একটি উপাদান ছিল চন্দন। বিভিন্ন রকম কসমেটিক্স ও সুগন্ধীতে চন্দন ব্যবহৃত হয়। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় চন্দন বেশ উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা, ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

নিয়মিত চন্দন ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ব্রণর উপদ্রব কমে যায়। এক্ষেত্রে চন্দন কাঠ গুঁড়ো করে জল দিয়ে অথবা কাঠ ঘষে চন্দনের পেস্ট বানাতে হয়। আজকাল বাজারে চন্দন কাঠের গুঁড়ো কিনতে পাওয়া যায়। দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এবার ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ফেস প্যাক খুবই উপকারী।

নারকেল তেল

ত্বক ডিটক্স করতে চান? কোনও কড়া পদ্ধতির সাহায্য না নিয়ে সহজেই এবার ডিটক্স করে ফেলতে পারেন আপনার ত্বক৷ এক চাচামচ কোল্ড প্রেসড ভার্জিন কোকোনাট অয়েলে আধ চাচামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগান৷ দশ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন৷ আপনার ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার মনে হবে৷

আপনাকে যদি প্রতিদিন দীর্ঘ সময় বাইরে কাটাতে হয়, অথবা রোদের মধ্যে বা দূষিত আবহাওয়ায় কাজ করতে হয়, তা হলে এই মাস্কটি থেকে খুবই উপকৃত হবেন৷ নিয়মিত ব্যবহারে (সপ্তাহে দু’বার) দেখতে পাবেন ত্বক কেমন ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যদীপ্ত দেখাতে শুরু করেছে৷ আপনার যদি ব্রণ থাকে, তা হলেও এই প্যাকটি ব্যবহার করলে যথেষ্ট উন্নতি দেখতে পাবেন৷

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...