চোখের রং বাদামি, নীল বা একটু সবজে ঘেঁষা হওয়াটা খুব আনকমন একটা ফিচার। বলিউডে ঐশ্বর্য রাই, করিশ্মা কপূর বা নীল নিতিন মুকেশ এমন সৌভাগ্যের অধিকারী। চোখের মণির রং তাদের সৌন্দর্যে এক ভিন্ন ধরনের অ্যাপিল যোগ করেছে। অনেকেই এমন চোখ আকাঙক্ষা করেন, কিন্তু এই ঈশ্বরদত্ত বৈশিষ্ট্য সবার থাকে না। আধুনিক সময়ের ফ্যাশন সাম্রাজ্যে অবশ্য সবই অর্জন করা সম্ভব। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বা লুক্স-এ একটা বড়ো ধরনের বদল আনার জন্য, তাই অনেকেই সাহায্য নিচ্ছেন কালার্ড কন্ট্যাক্ট লেন্স-এর। মোটা চশমার ফ্রেমের পাশাপাশি, স্টাইল অ্যাক্সেসরি হিসেবে কদর বেড়েছে colored contact lens-এর।

রংবেরঙের লেন্স

মণির রং বদলানোর জন্য এখন বাজারে একাধিক রঙের লেন্স পাওয়া যায়। যেমন ন্যাচারাল, কন্ট্রাস্ট, ব্ল্যাক, ইউভি, ব্লু, গোল্ডেন, গ্রিন, পার্পল, হলদেটে, পিংকিশ, সাদা, লাল, ভায়োলেট এবং গ্রে রঙের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। পার্টি-তে যাওয়ার সময় অনেকেই নিজের কমপ্লেকশন, পোশাকের রং অনুযায়ী কালার্ড লেন্স-এর চয়ন করেন। মেক-আপও লেন্স নির্বাচনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কালার্ড লেন্স, ভিড়েও আপনার ব্যক্তিত্বকে সবার থেকে আলাদা করে তুলে ধরবে।

কেনার আগে

কালার্ড কন্ট্যাক্ট লেন্স কেনার সময় খেয়াল রাখুন, সেটা যেন অবশ্যই কোনও বিশ্বস্ত নামি ব্র্যান্ডের হয়। কালার ফিউশন, ফ্রেশকোন, অ্যাকিভিউ, সিবাভিশন, ফ্রেশ লুক, কালার ব্লেন্ডস্ এবং বশ অ্যান্ড লমব্ এমনই কয়েকটি বিশ্বস্ত নাম। চোখ অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহরের আগে অতি অবশ্যই একবার চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। লেন্স-এর রং আপনার গায়ের রঙের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত। গায়ের রং যদি ফরসা হয়, তাহলে গাঢ় রঙের লেন্স– যেমন ডার্ক ব্রাউন, ডার্ক ব্লু, ডার্ক গ্রিন নির্বাচন করতে পারেন। লেন্স ব্যবহারের আগে প্রায়োরিটি নির্ধারণ করুন, যে আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য লেন্স ব্যবহার করতে চান, নাকি অল্প কিছুদিনের জন্য। মাস দুয়েক পরা যাবে এমন ডিসপোজেবল লেন্সও বাজারে পাওয়া যায় আজকাল।

বিশেষ সতর্কতা

  • লেন্স সবসময় পরিষ্কার হাতেই ধরুন, এর ফলে চোখে ইনফেকশন এড়াতে পারবেন
  • নিয়মিতভাবে লেন্স পরিষ্কার করুন
  • লেন্স লাগানো ও খোলার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না
  • স্নান করা বা সুইমিং-এর আগে অতি অবশ্যই লেন্স খুলে নিন
  • নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে চোখের চেক-আপ করাবেন
  • লেন্স যখন ব্যবহার করবেন না, তখন অবশ্যই স্টোরেজ কেস-এ রাখুন। এই বক্সও পরিষ্কার রাখুন। প্রতি ৩ মাস অন্তর কেস বদলান
  • কখনও নিজের ব্যবহৃৎ লেন্স অন্য কাউকে পরতে দেবেন না, কারণ এভাবেও ইনফেকশন ছড়াতে পারে এবং চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
  • ভাঙা বা ক্র্যাক হওয়া লেন্স ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...