খবরে প্রকাশ টলিউডি অভিনেত্রী Parno Mitra কাজ করতে চলেছেন একটি বাংলাদেশি ছবিতে৷ বিপরীতে থাকবেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা মোশারফ করিম।
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল, কারণ সকলেই জানেন ২০১৬-তে বাংলাদেশের ঢাকায় ‘ডুব’ ছবির শুটিং করেছিলেন পার্নো। সে ছবিতে ছিলেন ইরফান খান।
সংবাদটি প্রকাশ পাওয়ার পর জানা যায় এবার নাকি পার্নো কাজ করতে চলেছেন বাংলাদেশের পরিচালক ফজলুল কবীর তুহিনের ছবিতে এবং ছবির নাম ‘বিলডাকিনী’।
আর এখান থেকেই শুরু বিতর্ক৷ সুত্রের খবর এই ছবিটি নিয়ে বেশ জলঘোলা হতে শুরু করেছে বাংলাদেশে৷ কারণ Bildakini চলচ্চিত্র, বাংলাদেশ সরকারের ২০১৯- ২০২০ অর্থবছরে অনুদানপ্রাপ্ত একটি নির্মানাধীন ছবি৷ বাংলাদেশ সরকারের গেজেটে যেখানে পরিচালক হিসেবে মনজুরুল ইসলাম-এর নাম প্রকাশিত হয়েছে।প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, মনজুরুল ইসলাম মেঘ, বিলডাকিনী চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার এবং তাঁর নামেই বাংলাদেশে কপিরাইট অধিদপ্তরে কপিরাইট নিবন্ধন করা হয়েছে। তিনি একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পরিচালক এবং জুরির দায়িত্ব পালন করছেন৷ এছাড়া ভারতের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক ও ডেলিগেট হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে নির্দেশক Monjurul Islam জানিয়েছেন, ‘বিলডাকিনী চলচ্চিত্র ২০১৯- ২০২০ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত একটি সিনেমা৷ এই নামে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতিতে পরিচালক হিসেবে আমার নামে নিবন্ধন করা আছে। সিনেমা-টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে আমি একাধিক চিঠি দিয়েছি, কোনও উত্তর এখনও পর্যন্ত আমাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়নি। চিঠি হাতে পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মনজুরুল আরও জানান, ‘প্রযোজক আব্দুল মমিন খান, আমাকেই বাদ দেওয়ার ঘৃণ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।পরিবর্তিত পরিচালক হিসেবে যাকে নিয়ে আসতে চাইছেন তিনি ফজলুল করিম তুহিন, যিনি ২০১৯- ২০২০ অর্থ বছরে অনুদানপ্রাপ্ত “গাংকুমারী” নামে অন্য একটি সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক। একই পরিচালক একই বছরে অনুদান পাওয়া দুটি সিনেমা পরিচালনা করবেন কীভাবে?’
এদিকে প্রযোজকের তরফে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ছবিটি নিয়ে৷ মিডিয়াতে প্রকাশ, একটি উপন্যাসকে ভিত্তি করেই তৈরি হবে ছবিটি, যা আদতে নারীশক্তির গল্প। রাজশাহী অঞ্চলের কাছে একটি গ্রামে হবে ছবির শুটিং।এই গল্পে একজন গ্রামের মেয়ের চরিত্রে, অভিনয় করবেন পার্নো৷ শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি ডিসেম্বর মাস নাগাদ পৌঁছে যাবেন বাংলাদেশে এই ছবিটির শুটিং করতে।
এদিকে মজুরুল ইসলামের দাবি, তিনি এই ছবি করবেন এবং সেখানে বাংলাদেশেরই কোনও অভিনেত্রীই করবেন এই চরিত্র৷ তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, ‘দেশীয় সিনেমার উন্নয়নে চলচ্চিত্র অনুদান দেওয়া হয়। বিলডাকিনী চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার আমি, আমি জানি কে এই চরিত্রে ভালো অভিনয় করবেন, মন্ত্রনালয়ে বাংলাদেশের গুণী অভিনেত্রীদের নাম জমাও দেওয়া আছে৷’
এই ছবির পরিণতির দিকে তাকিয়ে আছেন দর্শকরা৷ পার্নো কি শেষ পর্যন্ত থাকবেন নাকি বাদ যাবেন এই প্রোজেক্ট থেকে, সেটাই এখন দেখার৷