আচমকাই বিতর্কের তুঙ্গে উঠে এসেছেন অভিনেতা-কমেডিয়ান বীর দাস৷দিন কয়েক আগেই মার্কিন মুলুকের এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেতে গিয়ে Vir Das-কে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি আসলে দ্বিখণ্ডিত ভারতের নাগরিক। কেন জানেন? ওখানে দিনে যে নারীদের দেবীরূপে পুজো করা হয়, সেই নারীকেই রাতের অন্ধকারে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়..।” আর এটাই উস্কে দিয়েছে বিতর্ক৷
অভিনেতা হিসেবে মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে একটা শক্তপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন বীর৷তাঁর গুণমুগ্ধের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ময়দানে এইরকম মন্তব্য কেন করলেন বীর?এই প্রশ্নই ঘুরছে সবার মনে, আর এই নিয়েই নেটদুনিয়ায় এখন শোরগোল। বিদেশের মাটিতে দেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার অভিযোগ তীব্র হয়েছে বীরের বিরুদ্ধে।
এই উক্তি অভিনেতাকে জড়িয়েছে আইনি বিপাকেও, যার জেরে বীর দাসের বিরুদ্ধে দিল্লির তিলক মার্গ থানায় FIR দায়ের হয়েছে। তাঁর বক্তব্যের কড়া সমালোচনাও করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত৷বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনের মতে, “বীর দাস একজন অপরাধী। কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত ওকে।” তবে বীর দাসের এমন মন্তব্যকে গেরুয়া শিবির রুষ্ট হলেও, কংগ্রেসের দুই ডাকসাইটে নেতা কপিল শিব্বাল এবং শশী থারুরের থেকে কিন্তু বেজায় সমর্থন পেয়েছেন এই স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান-অভিনেতা।
এবার জানা যাক ঠিক কী বলতে চেয়েছিলেন বীর? ৬ মিনিটের এক লম্বা মনোলগে ভারতের ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনা থেকে শুরু করে কৃষক আন্দোলন, অতিমারী মোকাবিলার মতো যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছিল বীরের বক্তব্যে । কিন্তু ভারতে নারীদের সম্মান নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন অভিনেতা, সেই অংশটিই ঠিল বিতর্কের কেন্দ্রে।
সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই বহু মানুষ দাবি তুলেছেন যে, বীর যেন আর কখনওই দেশে না ফেরেন। এমনকী কমেডিয়ানের উদ্দেশে তাঁরা এও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে যে, “তুমি কি নিজের পরিবারের অজানা কথাই তুলে ধরতে চেয়েছ?” পাশাপাশি বীরকে ‘পশু’, ‘হিন্দুফোবিক’ বলেও আক্রমণ করা হয়েছে।
যদিও এমন বিতর্কে পড়ে বীর জানিয়েছিলেন যে, “প্রত্যেকটি বিষয়েরই একটা ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। আমাদের দেশেও তেমনি দুটো দিকই আছে। আর আমি আমার মন্তব্যে সেটাই তুলে ধরেছিলাম। আমার ভিডিওটির ভুল অর্থ বের করা হয়েছে।”
ভারতের মানুষ অসহিষ্ণু, নাকি এই বক্তব্যের বিষয়টিতে কোনও ভুন নেই তা বিচার করুক মানুষই৷ অভিনেতা-কমেডিয়ানের এমন মন্তব্যের জল শেষপর্যন্ত কোথায় গড়ায়, সেটাই এখন দেখার৷