আমি ২৫ বছর বয়সি তরুণী। অবিবাহিত। পেশা–শিক্ষকতা। আমার এক দাদা আছে। ৩২বছর বয়সি। বিয়ে করেছে ছ’মাস আগে। কিন্তু বিয়ের পরও এক মধ্য বয়সি বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক আছে আমার দাদার। এটা জেনে আমার খুব খারাপ লাগে। আসলে বউদির জন্য খুব খারাপ লাগছে। শিক্ষিতা, সুন্দরী এবং নম্র–ভদ্র স্বভাবের বউদি দিনের পর দিন দাদার কাছে ঠকে যাচ্ছে দেখে আমার খারাপ লাগে এবং দাদার ওপর খুব রাগ হয়।
আমি প্রতিবাদ করি। দাদাকে জানাই, ও যদি ওই মধ্যবয়স্কা মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ না করে, তাহলে এই ঘটনা আমি বাবা–মাকে জানিয়ে দেব। এরপর দাদা আমার কথা তো রাখলই না, উলটে, আমাকে জানাল, আমার সঙ্গে নাকি স্কুলের প্রিন্সিপালের একটা রিলেশন আছে এমন কথা সে বাবা–মাকে জানাবে। অথচ একথা সত্যি নয়। এখন আমার কী করা উচিত আমি বুঝতে পারছি না।
কখনও কখনও অবাক হয়ে ভাবি, দাদা তাহলে এই বিয়েতে রাজি হল কেন? আমার বউদির মা-বাবা আগেই মারা গেছে৷ওর মামার বাড়ি থেকে তোড়জোড় করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ দাদার সঙ্গে বিবাদ বিচচ্ছেদ হলে সবচেয়ে বিপদে পড়বে বউদি৷ আমি ওর এত বড়ো ক্ষতি চাই না৷ কিন্তু দিনের পর দিন দাদার ওকে ঠকানোটাও মেনে নিতে পারছি না৷ আমার কী করা উচিত?
তুমি বউদির প্রশংসা করেছ, তার মানে ধরে নিচ্ছি, বউদির সঙ্গে তোমার সম্পর্ক খারাপ নয়। আর যদি হৃদ্যতা কম থাকে, তাহলে বউদির সঙ্গে আরও বন্ধুর মতো মেলামেশা করো।মনে রেখো বউদির যতক্ষণ না তোমার উপর মানসিক নির্ভরতা তৈরি হচ্ছে ,ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি ওর পাশে দাঁড়াতে পারবে না৷
এরপর তোমার যা করণীয় তা হল, আপাতত বাবা-মাকে দাদার কীর্তির কথা না জানিয়ে, বউদিকে বন্ধুর মতো সব ঘটনা জানাও। তুমি বন্ধুর মতো বললে, বউদি চিৎকার চ্যাঁচামেচি না করে কৌশলে সমস্যার সমাধান করবে আশা রাখি।ও অন্তত তোমার দাদার সঙ্গে কথা বলে তাকে এই অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করবে৷ তবে মনে হচ্ছে তোমার দাদাও খারাপ নয় কিন্তু ওই মহিলার আহ্বানে ভুল করছে৷ এমনটাই বোঝাতে হবে তোমার বউদিকেও। এতে দাদা-বউদির সম্পর্ক নষ্ট হবে না এবং বউদির কৌশলে দাদা লজ্জা পেয়ে কুপথ থেকে সরে দাঁড়াবে এমনই আশা রাখা যায়।