আমার বয়স ২১ বছর। আট বছর ধরে একটি ছেলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়। আমি মনে করতাম আমার মতো ছেলেটিও আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। আমরা বিয়ে করব বলেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।কিন্তু কিছুদিন পরেই আমি আমার ভুল বুঝতে পারি। হঠাৎই ছেলেটির মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। পরে জানতে পারি ছেলেটি আমাকে লুকিয়ে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে ঘুরছে। ওকে সরাসরি জিগ্যেস করাতে ও জানায় যে, ও এখন অন্য একটি মেয়েকে ভালোবাসে। আমার সঙ্গে নাকি শুধু ও সময় অতিবাহিত করতে চেয়েছিল। আমি নাকি ওর ভালো বন্ধু হয়ে থাকতে পারি কিন্তু তার বেশি কিছু আমাকে এক্সপেকট করতে বারণ করেছে। বর্তমানে আমাদের ব্রেকআপ হয়ে গেছে কিন্তু ছেলেটির কথা, ওর  স্বার্থপরতা আমি কিছুতেই ভুলতে পারছি না। এখন আমি কী করব?  

 কাউকে ভালোবাসা অনেকটা নেশার মতো। কিছুদিন পর থেকেই ভালোবাসাটা কেমন যেন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়। নেশা ধরে যায়। ভালোবাসার মানুষের স্পর্শ, হাসি-ঠাট্টা আর ভালোবাসা নিজের অজান্তেই একদিন নিজস্ব জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। তাই হঠাৎ করে যখন সেই অভ্যাস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়, তখন যে কষ্টটা হয়, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়! তখন মনে হয় শরীর-মনের উপর এতটাই আঘাত লেগেছে যে নিজেকে শক্ত করে আর কোনওদিনও নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে পারব না। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। সুতরাং আপনিও অতীতকে ভুলে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলুন। বন্ধু হয়ে থাকতে চাইলে অবশ্যই থাকতে পারেন কিন্তু ছেলেটির সামনে গেলেই অতীত আপনার মনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে তাই বন্ধুত্বের আশা ত্যাগ করুন। ব্রেকআপ হয়েছে মানেই জীবন শেষ, এমনটা ভেবে নেবেন না প্লিজ। বরং নিজেকে শক্ত হাতে সামলান। দেখবেন, একদিন না-একদিন আপনার সত্যিকারের ভালোবাসার সন্ধান পেয়েছেন। নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। ব্রেকআপের যন্ত্রণা ভুলতে এই টিপসগুলি মানলে দেখবেন মানসিক যাতনা অনেকটাই কম হয়েছে।

 যে ছেড়ে চলে গেছে তার কথা ভেবে দুঃখ পাওয়াটা বোকামি। এবার একটু নিজের দিকে নজর দিন! মন যা চায় তাই করুন। পছন্দমতো খাবার খান। বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা মারুন। ঘন্টার পর ঘন্টা সিনেমা দেখুন। মোট কথা যা ইচ্ছা তাই করুন। নিজের পছন্দমতো বাঁচুন। দেখবেন, যে মানুষটার স্বার্থপরতার কথা ভুলতে পারছিলেন না তার কথা আর মনেই পড়বে না। অনেকে বলেন ব্রেকআপের কষ্ট কমাতে নাকি শপিং-এর কোনও বিকল্প নেই। কথাটা কিন্তু ভুল নয়। বরং ষোলো আনা ঠিক। পুরনো কথা মনে পড়ছে কারণ আপনি আলস ভাবে দিন কাটাচ্ছেন, ফলে কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তাই খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই এই সময় যদি শপিং-এ নিজেকে ব্যস্ত রাখা যায়, তা হলে নেতিবাচক চিন্তা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। তাই কোনও কিছু না ভেবে চুটিয়ে শপিং করুন। দামি কিছু কিনতে হবে এমন কোনও কথা নেই। বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে খুচখাচ কেনাকাটায় নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন তাতে অতীত আপনাকে যন্ত্রণা দেবে না। এছাড়াও বাড়ির মত নিয়ে বন্ধুরা একজোট হয়ে কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসুন। পকেট বুঝে কোথাও বেরিয়ে পড়তে পারলে কষ্ট যে কমবে, তা জোর দিয়ে বলতে পারি।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...