সাধারণ জীবনযাপন করার কথা আজ প্রায় প্রতিটা মানুষ ভুলতে বসেছে। অথচ আগে এই ধরনের জীবনেই মানুষ অনেক বেশি খুশি থাকত কারণ মানুষের চাহিদা ছিল কম। মানসিক আনন্দ মানুষকে শরীর ও মনের দিক থেকেও সুস্থ থাকতে সাহায্য করত। কিন্তু এখন তিনটি শব্দ মানুষকে নিজের বশে করে নিয়েছে যার থেকে বাচ্চাদেরও নিস্তার নেই। শব্দ তিনটি হল – Stress, অবসাদ ও টেনশন। বড়োদের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চারাও সর্বত্র, বিশেষ করে পড়াশোনা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিতে এতটাই প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে যে যখন তখন তারা ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে পড়ছে।

এই সব কারণে বড়োদের সঙ্গে বাচ্চাদেরও মেন্টাল এবং ফিজিক্যাল হেলথ-এর উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া দরকার, যাতে সকলে শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক ভাবেও শক্তসমর্থ থাকতে পারে। এখানে আলোচনার বিষয় হল কীভাবে জীবনশৈলীতে পরিবর্তন এনে বাচ্চাদের Stress কম করানো যেতে পারে।

 হেলদি ওয়েট মেইনটেন করা জরুরি করে

বিভিন্ন ধরনের কোশ দ্বারা ইমিউন সিস্টেম গঠিত হয়। এগুলি শরীরকে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ইত্যাদি থেকে সুরক্ষিত রাখে। শরীরে এগুলির ব্যালেন্স ঠিক রাখাটা খুব দরকার, যাতে শরীর ফিট থাকতে পারে। কিন্তু শরীরে যখন ফ্যাট-এর মাত্রা বেড়ে যায় তখন ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়ে যায় এবং শরীর রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সুতরাং সঠিক ওয়েট মেইনটেন করে ইমিউন সিস্টেম-এর কার্যক্ষমতা বহাল রাখা খুব জরুরি।

স্ট্রেস দূরে রাখুন

আমাদের জীবনে পরিস্থিতি কখন বদলে যায় আগে থেকে কিছু বলা যায় না। সুতরাং stress এমনিতেই আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। স্ট্রেসের কারণে শরীর জ্বালা করা বা ফুলে ওঠার সমস্যা দেখা দিলেই বুঝতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাচ্চাদেরও এই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বাচ্চা বলে তার জীবনেও স্ট্রেস কিছু কম নয়। পড়াশোনার চাপের সঙ্গে সঙ্গে আনুষঙ্গিক অন্যান্য চাহিদা পূরণ করার প্রেশার থাকে তাদের উপর। সুতরাং সে যখন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন ইমিউন সিস্টেম-এর অ্যান্টিজেন্স-এর সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা কমে যায়। যে-কারণে সংক্রমণ হওয়ার ভয় বেড়ে যায়।

সুতরাং বাচ্চাদের স্ট্রেসমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। পজিটিভ ভাবতে তাদের সাহায্য করুন। হেলদি ইটিং হ্যাবিটস, নিয়মিত এক্সারসাইজ, মস্তিষ্ক-কে আরাম দেওয়ার সঙ্গে জীবনশৈলীতেও পরিবর্তন এনে ইমিউনিটি বাড়ান সন্তানের।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...