করোনা অতিমারির Omicron ভয়াবহতা থেকে সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বাচ্চাকে রাখুন সুরক্ষিত বলয়ে। ২০২০ থেকে আমাদের জীবনশৈলীর অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটেছে। কোথাও ঘোরফেরা বন্ধ, বন্ধু-আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ। আজ প্রায় দু’বছর যখন আমরা পেরোতে চললাম, ২০২২-এও আমাদের এই একই অবস্থায় যখন থাকতে হচ্ছে এবং মানুষ সবরকম আশা-ভরসা প্রায় হারিয়ে ফেলছে, তখন প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির নানা উপায় অবলম্বন করার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরের পজিটিভিটি অক্ষুণ্ণ রাখা। বাচ্চাদের প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে কারণ দীর্ঘ সময় বাড়িতে কাটাবার ফলে স্কুল, বন্ধু বানানো, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে ইনটার্যাকট করা ইত্যাদি আজ তাদের কাছে স্বপ্ন, যে স্বপ্ন আশা দেখায় না, বরং অবসাদের অন্ধকারে ঠেলে দেয়। তাই প্রথম প্রয়োজন সন্তানের মানসিক স্থিরতা যাতে বজায় থাকে তার প্রচেষ্টা চালানো।
ইমিউনিটি বাড়ান
নানা সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এক্সারসাইজ করলে ইমিউনিটি বাড়ে। সময়ের অভাবে অনেকসময় দীর্ঘক্ষণ এক্সারসাইজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বিশেষ করে বাচ্চাদের পড়াশোনার চাপে শরীরের জন্য আলাদা করে পরিশ্রম করা হয় না। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের ১৫ মিনিট সময় বেঁধে দিন যখন তারা জগিং, ব্রিস্ক ওয়াক, সাইক্লিং ইত্যাদি করতে পারে। তবে অবশ্যই ফাঁকা কোনও জায়গায় যেখানে অপরের সঙ্গে শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে সুবিধা হবে। যদিও করোনার কারণে পাবলিক সুইমিংপুল বন্ধ রাখা হয়েছে তবুও যদি বিশেষ সুবিধাযুক্ত কোনও জলাশয় কাছাকাছি থাকে এবং বাচ্চার যদি সাঁতারে ইন্টারেস্ট থাকে তাহলে সাঁতার শেখানো হল শরীরের জন্য একটি ভালো এক্সারসাইজ। অবশ্য এটি শীতকালীন সময়ে করা সম্ভব হয় না। সমীক্ষায় দেখা গেছে সারা সপ্তাহে যদি ১৫০ মিনিট মডারেট এক্সারসাইজ করা যায়, তাহলে নতুন করে ইমিউন সেল্স-এর গ্রোথ হয়।
মস্তিষ্ককে আরাম দিন
আমাদের মস্তিষ্ক তখনই কাজ করা বন্ধ করে দেয় যখন ব্রেন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কাজে মন লাগাতে পারি না, ভাবনা চিন্তা করার শক্তি হারিয়ে ফেলি। আমাদের ঘুম যদি ঠিকমতো না হয় কিংবা শোওয়ার সময়, টিভি বা মোবাইল দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি তখনও এই একই সমস্যায় পড়তে হয়। এতে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় এবং Omicron সংক্রমণের বিপদ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।