আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত কান সিং সোধার প্রযোজনা সংস্থা KSS Productions and Entertainment-এর আসন্ন ছবি “৮/১২” (বিনয় বাদল দীনেশ সাগা)৷  ‘এগারো’ ও ‘হীরালাল’ খ্যাত পরিচালক অরুণ রায় পরিচালিত এই ছবিতে বিনয় বসু -র ভূমিকায় অভিনয় করেছে কিঞ্জল নন্দ, বাদল গুপ্ত-র ভূমিকায় অভিনয় করেছে অর্ণ মুখোপাধ্যায় ও দীনেশ গুপ্ত-র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রেমো। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, শংকর দেবনাথ, দেবরাজ মুখোপাধ্যায়, অনুষ্কা চক্রবর্তী, গুলশনারা খাতুন প্রমুখ।

১৯৩০ সালের ডিসেম্বরের এক শীতল দিনে, রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ব্রিটিশ পোশাক পরে অনুপ্রবেশ করেছিলেন এই তিন বীর বিপ্লবী৷  কারা-প্ৰধান, অত্যাচারী সিম্পসন সাহেবকে হত্যা করেছিলেন সেই তিন তরুণ তুর্কী, বিনয় বদল দীনেশ। ব্রিটিশকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করার পর যে-স্বাধীনতার আঁচ আজ আমরা ৭৫ বছর ধরে উপভোগ করছি, তা সম্ভব হতো না এই বীর যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ছাড়া৷ এই তিন তরুণ তাদের ব্যাক্তিগত স্বার্থের কথা ভাবেননি,ভাবেননি নিজেদের সুখের কথা, বরং দেশকে পরাধীনতা থেকে, অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন । এই তিন বীরের কাহিনিই চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে “৮/১২” ছবিটির মধ্যে দিয়ে৷

এতে হেমচন্দ্র ঘোষের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়কে। ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এরকম একটা চরিত্রে কাজ করার জন্য খুবই উচ্ছসিত তিনি। বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্তের মতন প্রাতঃস্মরণীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে, নিজেকে কৃতার্থ মনে করছেন শাশ্বত৷

নির্দেশক অরুণ রায়ের মতে,’৮/১২’ (বিনয় বাদল দীনেশ) এমন এক ঐতিহাসিক ঘটনার কথা বলবে যা, আজকের দিনে  আমাদের আত্মবিশ্লেষণের সামনে দাঁড় করাবে। বিনয়, বাদল, দীনেশ যে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিতেও কুন্ঠা বোধ করেননি,  স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর কি সেই অবদানের সঠিক মূল্য দিতে পেরেছি আমরা? এই প্রশ্নই সকলকে ভাবাবে।

এই ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে আছেন গোপী ভগৎ, সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সৌম্য- ঋত, সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন সংলাপ ভৌমিক, পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্ব নিয়েছেন শাবর্ণী দাস এবং প্রোডাকশন ডিজাইনের ভার পড়েছে তন্ময় চক্রবর্তীর উপর।

এই অতিমারির পরিবহেও, ছবি মুক্তির নিয়ে খুবই আশাবাদী প্রযোজক কান সিং সোধা৷ জানালেন, “৮/১২ (বিনয় বাদল দীনেশ) ছবির মুক্তি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত বিশেষ মুহূর্ত৷ আসন্ন ২৬ জানুয়ারিতেই যে আমরা দেশনায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন  করতে পারছি, এতে আমি খুবই উচ্ছসিত। অনেক চিন্তাভাবনা এবং আলোচনার পর ওই তারিখেই আমরা ছবিটি রিলিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমে মুক্তির তারিখ নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। তবে,  বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং ইন্ডাস্ট্রি বন্ধুদের সমর্থনে, আমরা বাংলার বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, প্রজাতন্ত্র দিবসেই ছবিটি মুক্তির কথা ভেবেছি৷”

এই ছবির প্রাসঙ্গিকতা আজও হারায়নি, একথা মনে করছেন এক শ্রেণির দর্শক৷ ফলে জাতীয়তাবাদকে আরও একবার জাগিয়ে তুলতে, হলে যেতেই হবে মানুষকে– এমনটাই আশা এই ছবির কলাকুশলীদের৷

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...