পেট্রোলের ক্রমবর্ধমান মূল্যের কারণে স্কুটি বা গাড়ি চালানোর কথা ভাবতে পারছে না মধ্যবিত্ত বাঙালিরা। তাই এখন সাইকেলের গুরুত্ব পুনরায় বহাল হয়েছে। জেনে নিন কী সাইকেল কিনবেন৷

শরীর মন ফিট রাখতে সাইকেল চালানো নিঃসন্দেহে ভালো এক্সারসাইজ৷নিয়মিত সাইকেল চালালে স্ট্রোক ও Heart attack-এর ঝুঁকি কমে৷ ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গিয়ে বিপাক প্রক্রিয়া সচল থাকে৷পা এবং নিতম্বের পেশি শক্ত হয়৷এমনকী যাদের হাঁটতে সমস্যা তাঁরাও কিন্তু সাইকেল চালাতে পারেন নির্দ্বিধায়৷ সখেও অনেকে সাইকেল কেনেন৷ কিন্তু কেনার আগে এই বিষয়গুলি জেনে নিন৷

কী ধরনের সাইকেল কিনবেন?

সাইকেল কেনার আগে আপনার প্রয়োজনীয়তার নিরিখে কেনাই ভালো। অর্থাৎ রোজ প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন, নাকি লম্বা দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার জন্য কিনবেন সেটা মাথায় রাখা জরুরি।

শো-রুমে বহু ধরনের স্টাইলিশ ও ফ্যান্সি সাইকেল বিক্রি হয়। কিন্তু যদি আপনার রোজকার সাধারণ কাজের জন্য সাইকেল কেনার কথা ভাবেন, তাহলে বিচক্ষণতার সঙ্গে নির্বাচন করুন। রাস্তায় চালাবেন কাজের প্রয়োজনে, নাকি পার্কে চালাবেন সখে। রোজ কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার প্রয়োজনে সাইকেল কিনবেন নাকি পাহাড়ে রেসিং-এর শখপূরণের জন্য এসবই বিবেচনা করে এবং পকেট অনুযায়ী কিনুন সাইকেল। সাধারণ সাইকেল পাবেন ৩-৫ হাজার টাকায়।

রোড সাইকেল : এগুলিকে রেসিং সাইকেলও বলা হয়ে থাকে। এগুলি হালকা হয়, চাকাও সরু ধরনের হয়। যাদের অনেকক্ষণ সাইকেল চালানোর প্রয়োজন হয়, তারাই মূলত এই ধরনের সাইকেল কেনেন। প্রফেশনাল্সরাও রেসিং-এর জন্য এই সাইকেলেই ভরসা রাখেন।

রেসিং ওয়ার্ক আউটের জন্য এই সাইকেলই উত্তম। এই ধরনের সাইকেল চিন বা ভিয়েতনামের শহর থেকেই আসে। ২০-৩০ কিলোমিটার সাইকেল চালানোর প্রয়োজন যাদের হয়, তাদের জন্য এই সাইকেলের দরকার নেই। ১০০ কিমির বেশি চালাতে হলে তবেই এগুলি উপযুক্ত। এতে ক্লান্তি অনুভব কম করবেন।

মোটা টায়ারযুক্ত সাইকেল : আজকাল এই ধরনের সাইকেলই খুব ট্রেন্ডিং। এগুলির টায়ার মোটা হওয়ার কারণে এর অন্য নাম ফ্যাট টায়ার বাইক। এই সাইকেল বালির উপর বা পাহাড়ের উপর চালানো খুবই সুবিধাজনক। সাধারণ রাস্তার পক্ষে তেমন উপযুক্ত নয়। কারণ এটা চালানোর জন্য আপনাকে বাড়তি শক্তিক্ষয় করতে হবে। ওজন কমানোর জন্য অবশ্য এই সাইকেল ভালো।

মাউন্টেন সাইকেল : এই সাইকেল আপনি যে-কোনও জায়াগাতেই চালাতে পারবেন। রোজকার জীবনে এমন একটি সাইকেল আপনার সব প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে। এই সাইকেল পাহাড়ি পাকদণ্ডি দিয়ে মসৃণ ভাবে চালানো যায়। ভালো গ্রিপ, আরামদায়ক এবং গিয়ার-এর ভ্যারাইটি পাবেন এই সাইকেলে। এটাকে অ্যাডভেঞ্চর সাইকেলও বলেন অনেকে। টিনএজারদের দারুণ পছন্দ এই সাইকেল। যারা প্রথম সাইকেল চালানো শিখছে, এর মোটা টায়ার তাদের ব্যালান্স রাখতে সাহায্য করে। এর ডিস্কব্রেক চাপলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...