আমার বয়স ৩২। আমি যখনই গাড়ি, ট্যাক্সি বা বাসে করে কোথাও যাই আমার প্যালপিটেশন শুরু হয়ে যায়। ছোটো থেকেই আমার এই সমস্যা। হেঁচকি ওঠা আর বমি একবার শুরু হলে, সেটা বন্ধ করা মুশকিল হয়। একমাত্র লেবু চুষলে এই সমস্যায় পড়তে হয় না। এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে, কোথাও যাওয়ার নাম শুনলেই বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে। সবসময় বাড়িতেই থাকতে হয় বাধ্য হয়ে। কোথাও না যাওয়ার ফলে বন্ধুবান্ধব আমার নেই কেউ। আমি যাই না বলে কেউ বাড়িতেও আসে না। কোনও ওষুধ আছে কি আমার এই সমস্যা দূর করতে?

আপনার মতো অনেকেরই এই সমস্যা আছে। এটাকে বলা হয় Travel Sickness। এর জন্য ওষুধ আছে। এছাড়াও ছোটো ছোটো কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে ট্র‌্যাভেল সিকনেস-এর সমস্যা কমে যাবে।

পেট হালকা : যখন ট্র‌্যাভেল করছেন তখন এমন কোনও কাজ করবেন না যাতে সর্বক্ষণ একই দিকে তাকিয়ে থাকার দরকার পড়ে। বই বা খবরের কাগজ পড়া, মোবাইলে কিছু পড়া, সোযেটার বোনা বা তাস খেলায়, যাত্রার সময় অনেকটা তাড়াতাড়ি পার হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু ট্র‌্যাভেল সিকনেস থাকলে এগুলি সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। বমি ভাব এবং প্যালপিটেশন হওয়ার রিস্ক বেড়ে যায়।

ট্র‌্যাভেল করার সময় সামনের দিকে তাকিয়ে থাকা সবথেকে ভালো। ভরা পেটে বাস বা গাড়িতে চড়লে এবং গাড়ি যদি খুব স্পিডে চলে তাহলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই কোথাও ট্র‌্যাভেল করতে হলে হালকা কিছু খেয়ে ট্র‌্যাভেল করা উচিত। তবে পেট একেবারে খালি রাখলেও সমস্যা হতে পারে। যাত্রার সময় গলা অবধি দুধ বা জল খেয়ে বেরোনো একেবারেই অনুচিত।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা : গাড়িতে ট্র‌্যাভেল করলে গাড়ির ভিতর পরিষ্কার আছে কিনা দেখে নিন। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে এতটা সম্ভব নয়। যাতে ভিতরটা এয়ারি থাকে তার জন্য জানলা খোলা রাখুন। টাটকা বাতাস মন এবং মস্তিষ্কে অনুকূল প্রভাব ফেলতে সক্ষম। কিন্তু পরিবেশ যদি নোংরা হয়, বাতাস যদি দুর্গন্ধ-যুক্ত হয় তাহলে মস্তিষ্কেও এর প্রভাব পড়বে। শ্বাস নিতে কষ্ট হবে, বমি পাচ্ছে মনে হবে।

ভালো মুড : খুব চিন্তিত, অবসাদগ্রস্ত হয়ে ট্র‌্যাভেল করবেন না। মুড খারাপ থাকলেও উত্তেজনাবশত নসিয়ার লক্ষণ Travel Sickness প্রকট হতে পারে।

বসার সিট : বসার আগে বেছে নিন সঠিক সিট-টি। যাতে ব্রেক কষলে অথবা গাড়ি গর্তে পড়লে ঝটকা বেশি না লাগে। এর জন্য গাড়ির সামনের দিকে সিট হল সব থেকে ভালো।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...