আমি ২৭ বছর বয়সি বিবাহিতা মহিলা৷ মা বাবা শিক্ষা দিয়েছেন যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি৷ তাই এখন আমি নিজের কোম্পানি চালাই।আমার সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছে৷ বিয়ের আগে ওঁর সঙ্গে তেমন মেলামেশার সুযোগ হয়নি৷ ফলে আমরা পরস্পরের চারিত্রিক দিকগুলি না জেনেই বিয়ে করেছিলাম৷
আমরা আর্থিক ভাবে সচ্ছল৷আমার স্বামী ব্যাবসা করেন।এমনিতে স্বামী খুবই দাযিত্ববোধ সম্পন্ন মানুষ এবং আমাকে খুবই ভালোবাসেন। কিন্তু কয়েক মাস ধরে হঠাৎ–ই আমাকে সন্দেহ করতে আরম্ভ করেছেন। লুকিয়ে লুকিয়ে আমার মোবাইল চেক করেন।কাজের সূত্রে আমাকে বহু পুরুষ ক্লায়েন্ট মিট করতে হয়৷ বহু পুরুষ সহকর্মীও রয়েছে আমার কোম্পানিতে৷কিন্তু তাদের কারও সঙ্গেও কাজের বাইরে আমার কোনও ঘনিষ্ঠতা নেই৷
এদিকে আমার স্বামীর এই পুরুষদের নিয়েই মনে নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে৷ প্রতিদিনই অশান্তি করেন, কারও না কারও নাম জড়িয়ে৷ তাঁর ধারণা আমার নানা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে৷ তাঁর এই ভাবনা আর অশান্তির কারণেই আমি বহু বিজনেস ডিল খোয়াতে বসেছি৷ অথচ আমি স্বামীকে হারাতে চাই না।ওঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি খুশিই ছিলাম৷ কিন্তু হঠাৎ তৈরি হওয়া এই সন্দেহবাতিকের সঙ্গে আমি ডিল করব কী ভাবে?
ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে যদি একবার সন্দেহ ঢুকে যায় তাহলে সেটা মনকে যেমন ব্যথা দেয়, তেমনি সম্পর্কের মধ্যে দেয়াল তুলে দেয়। সন্দেহের বশে হাসিখুশি বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়।
আপনার স্বামী যদি কয়েক মাস আগে থেকেই সন্দেহ করতে শুরু করে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে, তার আগে আপনাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। হতে পারে আপনার অজান্তে এমন কোনও ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, যার ফলে আপনার স্বামী সন্দেহ করতে শুরু করেছেন।
এর সমাধান একমাত্র আপনিই করতে পারেন। নিরিবিলিতে কখনও স্বামীর কাছ থেকেই নিজে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। মনের মধ্যে কোনও জিনিস চেপে রেখে ভিতরে ভিতরে শেষ হয়ে যাওয়াটা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। বরং ভুল বোঝাবুঝির দেয়াল উঠতে পারে আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে।
আপনার স্বামী যদি বারবার এবং লুকিয়েচুরিয়ে আপনার মোবাইল চেক করতে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা সূত্রপাত ওই মোবাইল থেকেই৷ আপনার অতিরিক্ত ফোন আসা বা মেসেজ আসাই এই সমস্যার মূলে। স্বামী সঙ্গে থাকলে মোবাইল কম ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
তবে বুঝতে হবে আপনার পেশাদার জগতে সাফল্য, স্বামীর ভিতর কোনও inferiority complex তৈরি করছে না তো? হতে পারে এখানেই লুকিয়ে রয়েছে সন্দেহের বীজ৷স্বামীর সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান। ওঁর বিষয়ে সহানুভূতিশীল হোন৷ দুঃখ কষ্ট শেয়ার করুন। তাও যদি স্বামীর ব্যবহার না বদলায় তাহলে কোনও ভালো কাউন্সেলর-এর সাহায্য নিন।