বহু বছর ধরে একে অপরকে ডেট করার পর গাঁটছড়া বেঁধেছেন রণবীর কপুর ও আলিয়া ভাট। দম্পতির প্রাক-বিবাহের অনুষ্ঠানটি ১৩ এপ্রিল একটি মেহেন্দি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যেখানে দম্পতির পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। ১৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দুই তারকার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে বিয়ের রীতি সারা হয়। রণবীর কপুরের বান্দ্রার বাড়ি বাস্তুতে এই বিগ ফ্যাট বিয়ের আসর বসে।
গোটা নেট দুনিয়া এখন মেতে আছে এই দম্পতির বিয়ের ছবি নিয়ে। Ranveer Kapoor–Alia Bhatt Wedding -এ, এদিন সকাল থেকেই অতিথিরা আসতে শুরু করে দেন। এসেছিলেন নীতু কাপুর, ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি, করিনা কাপুর, সইফ আলি খান, করিশ্মা কাপুর, মহেশ ভাট, পুজা ভাট, সোনি রাজদান, শাহিন ভাট, করণ জোহর, অয়ন মুখোপাধ্যায়-সহ আরও বিশিষ্ট অতিথিরা।
মুম্বাইয়ের পালি হিলসের অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স ‘বাস্তু’-এই ক’দিন যেন ঝলমলিয়ে উঠেছিল। বিয়ে হয়ে গেছে, সাত জন্মের পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দুজনই, তাই এখন সংবর্ধনা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আর সেই আলোচনাতে এবং সমস্ত জল্পনাতে জল ঢেলে দিলেন রণবীরের মা Neetu Singh। তিনি স্পষ্টই বলেছেন আর কোনও Reception Party হবে না এই যুগলের।
বিয়ের পর কিছুদিনের মধ্যেই রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের গ্র্যান্ড রিসেপশন হওয়ার কথা ছিল। যেখানে রণবীরের প্রাক্তন প্রেমিকা দীপিকা পাড়ুকোন ও ক্যাটরিনা কাইফকে দেখা যাবে যোগ দিতে। বিয়েতে এলাহি খাওয়া–দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। জল্পনা ছিল, বিয়ের মতোই রিসেপশনেও হবে দেদার খাওয়া–দাওয়া। চাঁদের হাট বসবে পার্টিতে– এমন খবরই ভেসে বেড়াচ্ছিল টিনসেল টাউনের হাওয়ায়। কিন্তু নীতু সিংয়ের বক্তব্য কিছুটা অবাকই করেছে মানুষকে। তিনি বলেছেন অনুষ্ঠান যা হবার, তা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। আর কিছুই বাকি নেই।এবার পাপারাৎজিরা নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন।
এটা একটু চমকে দেওয়া স্টেটমেন্ট-ই বটে। বস্তুত রণবীর কপুরকে বিয়ে করার পর আলিয়া ভাট অফিশিয়ালি ‘কপুর পরিবারের’ পুত্রবধূ হয়েছেন। যে – কপুর পরিবারকে ঘিরে গোটা ইন্ডাস্ট্রির মনে সমীহ কাজ করে। সেই হেভি ওয়েট পরিবারের ছেলের বিয়ে কিছুটা যেন অনাড়ম্বর ভাবেই সারা হল, বলছেন মুম্বইবাসীরা। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পরিবার এবং সীমিতসংখ্যক বন্ধুদের উপস্থিতিতে রণবীর-আলিয়া সপ্তপদীর আচারটি সেরে নেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সৌভাগ্য হয়নি অনেকেরই। এমনকী ঋষি কপুরের বিশেষ বন্ধুরাও বিয়ের আমন্ত্রণ পাননি। এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের রিসেপশন নিয়ে বেরিয়ে এসেছে নতুন ও চমকপ্রদ এই খবর।
আশৈশব আলিয়ার কাছে প্রায় স্বপ্নের নায়ক ছিলেন রণবীর। শেষ পর্যন্ত তাঁরই ঘরণি হবেন কিনা আলিয়া, তা নিয়ে বহুদিনই দ্বিধায় ছিলেন অনুরাগীরা। বিশেষ করে রণবীরের প্রেমিকাদের তালিকায় যেখানে ছিল অনেক হেভিওয়েট নায়িকার নাম। বিয়ের পরে, লাজুক রণবীর যখন তাঁর কনে আলিয়াকে ক্যামেরার সামনে কোলে তুলে নিলেন, তখন সত্যিই মনে হচ্ছিল ম্যারেজেস আর মেড ইন হেভেন প্রবাদবাক্যটা সঠিক।
রণবীর–আলিয়ার বিয়ে ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। বিয়ে বা তার আগের অনুষ্ঠানের কোনও ছবি যাতে না ফাঁস হয় তার সঙ্গে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা স্টিকার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় অতিথি -সহ বিয়ের কাজে মোতায়েন কর্মীদের। ছিল ২০০ জন বাউন্সার।
এই হাই ভোল্টেজ বিয়ে নিয়ে উৎসাহ ও কৌতুহল বুঝি ফুরোবার নয়। এই পরিস্থিতে রিসেপশন অনিশ্চিত, এমন খবরে হতাশ হয়েছেন অনেকেই। ম্যাডাম নীতু এই বিষয়টা আরও একবার বিবেচনা করে দেখবেন কি?
