প্রায় ১৭ বছর পর আবার একটি নতুন ছবির প্রযোজনায় কামব্যাক করল জালাল প্রযোজনা সংস্থা।আর ফেরার পরই চমক৷ তাঁদের নতুন সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যাবে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও অপরাজিতা আঢ্য-কে। ছবির নাম ‘কথামৃত’।
সুখের দাম্পত্য যদি একদিন আচানক মূক হয়ে যায় ? মনের মানুষ যদি বাকশক্তি হারান তাহলে? কেমন সেই নিশ্চুপ সম্পর্ক? মুখে যদি একটা শব্দও না সরে, তাহলে কি মনের কথা বোঝা যায় ! ছবির গল্প মূলত সনাতন (Kausik Ganguly) ও সুলেখাকে (Aparajita Adhya) কেন্দ্র করে। মজার বিষয় এটাই, যে- ছবির নাম কথামৃত, সেই ছবির মুখ্য চরিত্র সনাতন কথা বলতে পারে না। এক দুর্ঘটনায় বাকশক্তি হারায় সনাতন। প্রেম থাকলে অনেক সময়ই প্রিয়মানুষের শুধু চোখের ভাষা থেকেই বুঝে নেওয়া যায়, মানুষটি কী বলতে চাইছেন। হ্যাঁ, এরকমই এক বিষয় নিয়ে ছবি তৈরি করতে চলেছেন পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী। ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য বিন্যাসে জিৎ দত্ত। অন্যান্য চরিত্রে বিশ্বনাথ বসু, অদিতি চ্যাটার্জি, বুলবুলি ও অরিত্র-কে দেখা যাবে। এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়েছিল ‘কথামৃত’র শুটিং।এখন সেই ছবি রিলিজের অপেক্ষায়৷
বোঝাই যাচ্ছে একটি সম্পর্কের ভিতর নিশ্চুপ কথোপকথন নিয়েই তৈরি হয়েছে Kathamrito ছবির গল্প। মূক স্বামী কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের, স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করবেন অপরাজিতা৷ ফলে বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা চরিত্র। তার উপর বিপরীতে কৌশিক গঙ্গেপাধ্যায়, যিনি অতি দক্ষ একজন অভিনেতা।
গল্পে, পাড়ার মধ্যেও দেখা যায় সেরা জুটি তাঁরা। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে, নাম ঋক। এই সিনেমায় সনাতনকে খুবই ভালোবাসেন প্রতিবেশীরা।পাড়ার প্রেসিডেন্ট তিনিই। তাঁর প্রতিবন্ধকতা কোনও সমস্যাই নয় কারণ তিনি তাঁর সব কথা হাবেভাবে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন। কখনও যদি তিনি তাঁর ভাবের মাধ্যমে কোনও কিছু বোঝাতে অক্ষম হন, তখন তিনি একটি পকেট ডায়েরির সাহায্যে সব বুঝিয়ে দিতে সচেষ্ট হন। আর সেই অমূল্য ডায়েরির নামই কথামৃত।
প্রতিবেশীরা কিন্তু এই জুটিকে কেউ ঈর্ষা করেন না বরং ভালোবাসেন। তবে, এই সিনেমায় আরও এক জুটি আছে, যাদের কথা না বললে কিছু বলা অপূর্ণ থেকে যায়। তাঁরা হলেন বাবুন আর অনন্যা। তাঁদের মধ্যে কিন্তু অত সদ্ভাব নেই। ঝগড়া লেগেই থাকে। তাঁরা কেউই একে অপরের কথা শোনেন না এবং পছন্দ করেন না। বাবুনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিশ্বনাথ বসু। কথা না বলতে পারলেও এত মিল স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আর কথা বলেও কেন মিল নেই বাবুন ও অনন্যার মধ্যে– জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে মুক্তি-আসন্ন ছবিটি।
আসলে কথামৃতের কথা থেকে মৃতকে আলাদা করে দিলে কথা মৃত হয়ে যায়। আবার দুটিকে জুড়ে দিলে কথা অমৃত হয়। সম্পর্ক তো এমনই। কথাই যেমন পারে কোনও সংসার বা সম্পর্ককে জুড়তে, আবার কথার জেরেই সম্পর্ক কখনও শেষও হয়ে যায়।এই সিনেমার সুরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অমিত ঈশান, প্রসেন আর রণজয় ভট্টাচার্য্য। মধুরা পালিত আছেন সিনেমাটোগ্রাফিতে।