আমরা স্নান করি পরিচ্ছন্নতার জন্য। শরীরের ধুলো, ময়লা, ঘাম, জীবাণু ইত্যাদির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাই পরিচ্ছন্ন বাথরুমেরও প্রয়োজন। কারণ বাথরুম যদি নোংরা, জীবাণুযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে ওই বাথরুম ব্যবহার করলে পরিচ্ছন্নতার পরিবর্তে শরীরে রোগজীবাণু সংক্রামিত হতে পারে। অতএব, বাথরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতেই হবে।
প্রতিদিনের সাফাই
– বাথরুমে ব্যবহৃৎ বাথটাব, বালতি, মগ ইত্যাদি সাবান দিয়ে ধুয়ে রাখতে হবে।
– টয়লেট বক্সে ক্লিনার ট্যাবলেট দিয়ে রাখতে হবে, যাতে ফ্লাশ করলে কমোড অটোমেটিক পরিষ্কার হয়ে যায়।
– ভালো কোনও কোম্পানির এয়ারফ্রেশনার ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কারণ এয়ারফ্রেশনার যেমন সুগন্ধ ছড়ায়, তেমনই জীবাণুনাশকও।
– বাথরুমের দরজা সবসময় বন্ধ রাখুন।
– বাথরুম ব্যবহারের পরে কিছুক্ষণ এগ্জস্ট চালিয়ে নিন।
সদস্যদের সহযোগিতা
– স্নানের পরে ব্যবহৃৎ জামাকাপড় বাথরুমে ফেলে রাখবেন না। কারণ ব্যবহৃৎ জামাকাপড় বেশিক্ষণ পড়ে থাকলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের এই বিষয়ে সহযোগিতা চাই।
– বাথরুম ব্যবহারের পর ওয়াইপার দিয়ে মেঝের জল পরিষ্কার করে নিন এবং এগজস্ট চালিয়ে জল শুকিয়ে নিন। নিয়ম মেনে প্রত্যেকে এই কাজ করলে মেঝেতে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না এবং স্নানঘর জীবাণুমুক্তও রাখা যাবে।
– ওয়াশবেসিন ব্যবহার করার পর ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে রাখুন। যাতে, পরের ব্যবহারকারির কোনও ক্ষতি না হয়।
– অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল লিকুইড সোপ দিয়ে প্রত্যেকের হাত ধোয়া উচিত। এর ফলে বাথরুমও জীবাণুমুক্ত থাকবে।
সাপ্তাহিক সাফাই
– সপ্তাহে অন্তত একবার বাথরুমের আনাচেকানাচে জমে থাকা জলকাদা জল দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করুন।
– জীবাণুনাশক লিকুইড দিয়ে ওয়াশবেসিন পরিষ্কার করুন প্রতি সপ্তাহে।
– সপ্তাহে একদিন কমোডে টয়লেট ক্লিনার দিয়ে দশ মিনিট রাখার পর ভালো করে ব্রাশ করে জল দিয়ে ধুয়ে দিন।
– প্রতি সপ্তাহে বাথরুমের পর্দা ধুয়ে দিন অথবা বদলে দিন।
– ফ্লোর ক্লিনার লিকুইড সোপ দিয়ে প্রতি সপ্তাহে বাথরুমের মেঝে এবং দেয়ালে ব্যবহৃৎ টাইলস ধুয়েমুছে পরিষ্কার করুন।
প্রতি মাসের সাফাই
– বাথরুমে ব্যবহৃৎ মগ, বালতি প্রভৃতি উপকরণগুলি মাসে অন্তত একবার ভালো করে ধোয়ার পর রোদে শুকিয়ে নিন। কারণ সূর্যালোক জীবাণু নাশ করে এবং দুর্গন্ধ দূর করে।
– বাথরুমে এগ্জস্ট ফ্যান মাসে একবার ভালো করে মুছে পরিষ্কার করে রাখুন এবং এয়ারফ্রেশনার উপকরণ বদলে নিন।
– প্রতি মাসে একবার হালকা গরম জল দিয়ে বাথরুমের মেঝে, বেসিন, বাথটাব প্রভৃতি ধুয়ে নিন। এর ফলে বাথরুমে খুব সহজে শ্যাওলা ধরবে না এবং জীবাণুমুক্ত থাকবে।