পরিবেশের দূষণ, ধুলোমাটি, ব্যাক্টেরিয়া, সূর্যে‌র অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের শরীরকে সুরক্ষিত রাখে ত্বক। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকও পাতলা হতে থাকে এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটিও কমে আসে। এর ফলে ত্বক নিজেকে বাইরের শত্রুর হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে অক্ষম হয়ে পড়ে। ত্বকের ইলাস্টিক টিসু্জ নষ্ট হওয়া আরম্ভ হয়। এর ফলে ত্বক ঝুলে পড়ে, ত্বকে বলিরেখা পড়া শুরু হয়। এই সময় প্রয়োজন ত্বকের যত্নের।

কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন, তারই কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল :

রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখুন : ত্বকের aging রোধ করতে সবথেকে প্রথমে দরকার রোদ থেকে ত্বককে বাঁচানো। সূর্যে‌র ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবে ত্বকের বার্ধক্য খুব শিগিগিরি হয়। সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। এটিকে ফোটোএজিং বলা হয়। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, রোদ্দুর এবং সূর্যে‌র ক্ষতিকারক আল্ট্রা ভায়োলেট রে থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখার কিছু উপায় হল :

ছায়াতে থাকুন : সকাল ১০ থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত রোদে না বেরিয়ে ছায়াতে থাকার চেষ্টা করুন।

শরীর ঢেকে রাখুন : টুপি বা স্কার্ফ দিয়ে মাথা ও মুখ ঢেকে নিন। পুরো হাতা পোশাক পরুন। সানগ্লাস এবং ছাতা ব্যবহার করুন।

ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগান : কম করে ১৫ এসপিএফ-যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটি ইউভিএ এবং ইউভিবি, এই দুই ধরনের রশ্মি থেকেই ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। ত্বকে রোদ লাগলে বলিরেখা, এজিং-এর দাগছোপ এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সানস্ক্রিন লাগালে এই সমস্যাগুলি এড়ানো সম্ভব হবে।

মেক-আপ পরিষ্কার করুন : শুতে যাওয়ার আগে মেক-আপ পরিষ্কার করতে যেন ভুল না হয়। ত্বক পরিষ্কার থাকলে ত্বক নিঃশ্বাস নিতে পারবে, নয়তো সারা রাত ত্বকে মেক-আপ লেগে থাকলে ত্বকের পোরস বন্ধ হয়ে যাবে, যার ফলে ব্ল্যাকহেডস দেখা দিতে পারে।

রোজ ময়েশ্চারাইজার লাগান : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকও রুক্ষ হতে থাকে। সঠিক হাইড্রেশন না পেলে ত্বকে সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা ফুটে উঠতে পারে। ময়েশ্চারাইজার ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের তারুণ্য বজায় রেখে ত্বক করে তোলে কোমল মোলায়েম।

ফেসিয়াল ময়েশ্চারাইজার, বডি ময়েশ্চারাইজার, লিপ বাম এগুলি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু হার্ড সাবান, অ্যালকোহল বেসড উপাদান বা প্রোডাক্ট যেগুলি ত্বক শুষ্ক করে তোলে সেগুলির ব্যবহার না করাই বাঞ্ছনীয়।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...