কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল ল্যান্ড মনেটাইজেশন কর্পোরেশন তৈরি করেছে। এই সংস্থার কাজ হবে, সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা কেন্দ্র সরকারের জমির হিসাব রাখা এবং বিক্রি করা। সরকার এখন জনগণের জমানো টাকায় যেমন ভাগ বসাচ্ছে, ঠিক তেমনই আগের সরকারের থেকে পাওয়া জমি বলপূর্বক বেশি দামে বিক্রি করতে চাইছে আইনের ফাঁকফোকরের রাস্তা ধরে। এটা নিশ্চিত যে, এখন জমি বিক্রি হবেই এবং ওইসব জমিতে থাকা সবুজ ধ্বংস করে বড়ো বড়ো আবাসনও তৈরি হবে।
সরকারি জমি অনর্থক পড়ে আছে, তাই আবাসন কিংবা কারখানা তৈরি হওয়া ভালো, এমন ভাবনা আসা স্বাভাবিক। তবে সত্যিই কি তাই, নাকি অন্যকিছু ঘটছে, এটাও ভেবে দেখতে হবে। আসলে, ধুলোধোঁয়ার ঘন জনবসতির শহরে Environment দূষণ কমানোর মেশিন সরবরাহ করেও যে সরকার ফায়দা নিতে চলেছে, এই বিষয়টিকেও মাথায় রাখতে হবে। সত্যিই কি শহরের পরিবেশ এতে দূষণমুক্ত হবে, এটাও যাচাই করে দেখতে হবে।Government measure to protect Environment –এখন প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত৷
এসব না করে, ভালো হতো যদি ওইসব পড়ে থাকা জমিতে গাছ লাগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যেত। এতে অক্সিজেনও বাড়ত এবং প্রকৃতিও সুন্দর রূপ পেত। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে এর ঠিক উলটোটা। ফাঁকা জমি পরিণত হচ্ছে কংক্রিটের জঙ্গলে। আসলে, সরকার না পারছে কৃষিজমি বাড়াতে, না পারছে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে ! অথচ, ১০০-২০০ মিটার জায়গাই হোক কিংবা ২ লক্ষ মিটার, চাইলে ওই জমিকে সুন্দর প্রকৃতির রূপ দেওয়া যায়, সুজলাসুফলা করা যায়।
এখন আসলে গ্রামের ভোল বদলে শহর বিস্তারের ধুম চলছে। ঝাঁ চকচকে আবাসন দেখে সাধারণ মানুষও চমকে যাচ্ছে, আবার অনেকে খুশিও হচ্ছে। কিন্তু নগরায়নের নামে সবুজ ধ্বংস করে আসলে যে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, এই বিষয়টি অনেকেই ভাবছেন না। অনেকে আসলে চোখে রঙিন চশমা পরে রয়েছেন।
ভারত একটি প্রগতিশীল দেশ৷ সুতরাং এর উন্নয়ন হবেই৷নগরায়নের এই উদ্যোগে অনেকের হয়তো চোখ ধাঁধিয়ে যাবে৷ মানুষ ভাবতে শুরু করবে তাদের সামাজিক স্তর বৃদ্ধি হল৷ কিন্তু এর কুপ্রভাব সহজে চোখে পড়বে না ৷অবশ্য এটা নিশ্চিত যে, অদূর ভবিষ্যতে সবুজ ধ্বংসের পরিণাম ভযংকর হবে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যহানি হবে নারী এবং শিশুদের। তাই তাদের রক্ষা করার প্রয়াস শুরু না করলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।