Fashion বলতে আমরা বুঝি স্টাইল, পরিবর্তন এবং গ্রহণযোগ্যতা। প্রত্যেক ঋতুর সঙ্গে মানানসই পোশাকের চয়ন করার ক্ষেত্রে ফ্যাশনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নিজেকে অন্যের চোখে আকর্ষণীয় করে তুলতে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে, নিজস্ব সংস্কৃতিকে অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে Fashion-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

বয়স যাই হোক না কেন সৌন্দর্য ধরে রাখতে শুধুমাত্র মেক-আপ করাই যথেষ্ট নয়। বয়স অনুযাযী পোশাক চয়নের উপরেও খেয়াল রাখাটা খুব জরুরি। ইযং জেনারেশন ইচ্ছেমতো যেমনটা পছন্দ পোশাক পরে এবং বয়স অল্প হওয়ায় মানিয়ে যায়, কখনও আবার সেটাই ফ্যাশন স্টেটমেন্টও হয়ে ওঠে। কিন্তু বয়স ৩০-৩৫-এ পৌছলেই বুড়িয়ে যাচ্ছেন, নিজেকে আর ফ্যাশনেবল রাখা সম্ভব নয়, এমন ধারণা করে নেওয়াটা ভ্রান্ত। বয়স বাড়লেও আপনিই বা কম কীসে? পছন্দের পোশাক পরে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন ফ্যাশন ডিভা।

পোশাকের সঙ্গে চাই অ্যাকসেসরি

ফ্যাশনেবল এর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আকষর্ণীয় করে তুলতে পারফেক্ট মেক-আপ, প্রেজেন্টেবল আউটফিট-এর সঙ্গে ম্যাচিং অ্যাকসেসরিও পরতে হবে। খুব বেশি নয়, পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করিয়ে ২-৩টি অ্যাকসেসরিজ আপনার লুক আরও আকষর্ণীয় করে তুলবে। হ্যাংগিং ইয়াররিংস, ফুলসাইজ ফিঙ্গার রিং, সরু পেনডেইন্ট, ব্রাইট কাফ ব্রেসলেট, এগুলোর মধ্যে কোনও একটিকে নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট করে তুলুন। এগুলির কালেকশন আগে থেকেই ম্যাচ করে জোগাড় করে রাখতে হবে।

লাইট আউটফিট ব্রাইট অ্যাকসেসরিজ

বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব বেশি ব্রাইট ডার্ক কালার এবং ঝকমকে আউটফিট অনেকেই পরতে ইতস্তত করবেন ঠিকই কিন্তু লাইট শেডের পোশাককে ব্রাইট টাচ তো দেওয়াই যেতে পারে।

  • লাইট শেড-এর ড্রেসের সঙ্গে ব্রাইট কালারের স্কার্ফ নিন। যেমন সাদা টপ-এর সঙ্গে গাঢ় কমলা রঙের স্কার্ফ
  • লাইট শেড জিনস-এর সঙ্গে শিমারি বা স্টোন বসানো বেল্ট
  • বোল্ড শেড-এর হেয়ার অ্যাকসেসরিজ-এর ব্যবহার করুন, যেমন ক্লিপ, হেয়ার ব্যান্ড ইত্যাদি
  • পার্টিতে পরুন সফট শেড-এর আউটফিট, সঙ্গে সিলভার বা গোল্ডেন ক্লাচ ক্যারি করুন
  • নিয়ন শেডস-এর জুতি, শুজ, ফুটওয্যার লাইট কালারের আউটফিট-এর সঙ্গে ভালো মানাবে
  • কালারফুল ফ্রেমের সানগ্লাস আপনার সৌন্দর্য বাড়াবে
  • শিমারি লুক পেতে সিংগল আউটফিট-এর সঙ্গে এলিগেন্ট ডায়মন্ড সেট পরুন
  • ডার্ক ও ব্রাইট শেডের নেলপলিশ লাগিয়ে নিজের লাইট শেডের ড্রেস-কে ট্রেন্ডি লুক দিতে পারেন।

ফ্যাশন অ্যালার্ট

  • ট্রেন্ডের সঙ্গে মানিয়ে চলতে ট্রেন্ডি উইয্যার পরতে হবে না বরং যা আপনাকে মানায় তাই পরুন
  • সবকিছু ম্যাচিং না পরে বরং মিস-ম্যাচ করে পরুন, এতে ব্যালেন্সড লুক পাবেন
  • বার্ধক্যে আপনি এখনও পৌঁছননি তাই খুব বয়স্কদের মতো পোশাক পরবেন না
  • লুজ আউটফিট আপনার লুক খারাপ করতে পারে
  • ফিটিং জিনস-এর সঙ্গে টাইট ফিটিং টপ পরবেন না। দুটোর মধ্যে একটা টাইট হলে অপরটি লুজ রাখুন।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...