আমার বয়স ২৫ বছর। আগে আমি খুবই স্থূল ছিলাম। কিন্তু সকলে আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করত ফলে ওজন কমাতে তৎপর হই নিজে থেকেই। আমি সাফল্যের সঙ্গে নিজের শরীরের ওজন কম করেছি কিন্তু এতে আমার পেট এবং থাইয়ের কাছে স্ট্রেচ মার্কস হয়ে গেছে। যেমন গর্ভধারণের পর অনেক সময় হয়। আমি এখন কী করব? 

ওজন কম করার ফলে ত্বকের টাইটভাব নষ্ট হয়ে যায় এবং স্ট্রেচ মার্কস দেখা দেয়। এছাড়াও দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হলেও ত্বক প্রসারিত হয়, ফলে নীচে ডারমাল টিসু (dermal tissue)ফেটে যায় এবং স্ট্রেচ মার্কস দেখা দেয়। আপনি ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল ব্যবহার শুরু করুন। ক্যাপসুলের ভিতরের লিকুইড বের করে তা স্ট্রেচ মার্কস-এর উপর লাগান। এতে কিছুটা হলেও লাভ পাবেন। কোনও ক্লিনিকে গিয়ে লেজার থেরাপির সিটিং-ও নিতে পারেন। লেজার(laser) ও মাইক্রোনিডলিং রেডিওফ্রিকুয়েন্সি (microneedling radiofrequency),স্ট্রেচ মার্কস দূর করার খুবই কার্যকরী চিকিৎসা।

স্ট্রেচ মার্কস একবার হলে ত্বক আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা খুব মুশকিল। তবে রোজ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দাগ অনেকটাই হালকা হয়ে আসবে। ময়েশ্চারাইজ করার জন্য মাখন, নারকোল তেল, অর্গ্যানিক অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন যাতে আপনার ত্বক সঠিক ভাবে ময়েশ্চারাইজ থাকতে পারে। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ মতন ওষুধ খেতে পারেন। তাছাড়া লেজার টেকনিক, কেমিক্যাল পিল্স ইত্যাদিও ট্রাই করে দেখতে পারেন।

আজকাল স্ট্রেচ মার্কস দূর করার জন্য নানারকম অয়েলও বাজারে পাওয়া যায়। বাড়িতে অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। টাটকা অ্যালোভেরা নিয়ে সেটাকে ডায়াগোনালি কেটে কিছুক্ষণ রেখে দিন। ওটা থেকে হলুদ রঙের একটা তরল বেরোবে যেটা বেরোতে দিন। তারপর মধ্যেখান থেকে কেটে ছুরির সাহায্যে জেল বার করে নিন। রোজ এই জেল দিয়ে স্ট্রেচ মার্কস-এর উপর মাসাজ করুন। দাগ কমে যাবে।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...